সাক্ষাৎকার এবং পাল্টা সাক্ষাৎকার – এ যেন এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত চিত্র। আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না জানালেও, একটি স্যাটেলাইন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা তাঁর জন্য খুবই কঠিন।
এই প্রায় একই কথাটাই তামি সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের দিনও বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফেরাতে হলে বোর্ডকে কয়েকটা বিষয় ঠিক করতে হবে। আর তাঁর মধ্যে অন্যতম হল, তামিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ডকে চান্দিকা হাতুরুসিংকে কোচ থাকলে তামিমের পক্ষে জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব হবে না।
দিন দুয়েক আগে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন যে, তামিমের সঙ্গে বসে সাবেক অধিনায়কের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বোর্ডের সাথে তামিম ইকবালের সেই সভা হয়ে গেছে রোববার। কার্যত সেখানে তামিম তাঁর পুরনো কথাই বলেছেন নতুন করে।
আর এরই মধ্যে তামিম দিয়ে ফেলেছেন আরেকটা বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার। সেখানে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ ও সাকিব আল হাসানের সাথে দ্বন্দ্ব-সহ অনেক কিছুই উঠে এসেছে। আর এতে মোটামুটি স্পষ্ট যে জাতীয় দলের দরজাটা তামিম নিজেই বন্ধ করে দিচ্ছেন। মানে নীরবেই অবসর নিয়ে ফেলছেন।
অবশ্য একে নীরব না বলে সরবও বলা যায়। কারণ, এর আগে পরে আর কোনো ক্রিকেটারের অবসর বা খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দেশের ক্রিকেট মহলে এতটা কথা হয়নি।
রোববারের সভায় তামিমের সাথে ছিলেন, বিসিবির সিনিয়র পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এখন এই সভার ফলাফল যাবে বোর্ড সভাপতির কাছে। এরপরই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে বোর্ডের শীর্ষ পরিচালকরা তামিমকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবেন।
হয়তো, চান্দিকা হাতুরুসিংহের সাথে তাঁর মধ্যস্ততারও চেষ্টা করা হবে। ইনজুরি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে যে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তামিম। এমনকি রোববারের সভায় নাকি বলেও দিয়েছেন যে, তাঁর ফেরার কোনো পথ তিনি নিজে খোলা দেখছেন না।
তামিম হয়তো আর আয়োজন করে অবসরের ঘোষণা দেবেন না। তবে, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়রারে তিনি নিজেই ‘ফুলস্টপ’ বসিয়ে দিচ্ছেন। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলেন, সেটা সম্ভবত আর হচ্ছে না।