বলিউডের নগরী মুম্বাইতে শাহরুখ খান, সালমান খানের পাশাপাশি বিখ্যাত হয়ে উঠছেন আরো দুই খান। তাঁরা অবশ্য বলিউডের কেউ নন, একজন সরফরাজ খান আরেকজন মুশির খান। ক্রিকেটের সুবাদে অবশ্য মুম্বাই ছাড়িয়ে পুরো দেশেই জনপ্রিয় এখন এই দু’জন।
সরফরাজ খান ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই করেছেন জোড়া হাফসেঞ্চুরি। অন্যদিকে বড় ভাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নেশায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরেশোরে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক পর্যায় সর্বত্র সমানতালে পারফরম করে যাচ্ছেন তিনি।
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালেও ব্যতিক্রম হয়নি, মুম্বাই রাজ্য দলের হয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই তরুণ। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৬ রান, তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি মুম্বাইয়ের হাতে চলে এসেছে। প্রতিপক্ষের লাইনআপে উমেশ যাদবদের মত অভিজ্ঞ বোলার থাকলেও তাঁকে টলানো যায়নি; কতটা প্রতিভা নিয়ে তিনি ক্রিকেটাঙ্গনে এসেছেন সেটাই প্রমাণ করেছেন।
রঞ্জি ট্রফির এই মৌসুমে নকআউট পর্ব থেকে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মুশির। কিন্তু ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্স দেখাতে সময় নেননি তিনি, কোয়ার্টার ফাইনালে বারোদার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন। সেই ম্যাচে ডাবল হান্ড্রেড এসেছিল তাঁর কাছ থেকে। তিন নম্বরে নেমে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি, করেছিলেন ২০৩ রান।
এরপর সেমিফাইনালেও তামিলনাড়ুর বিপক্ষে তিনি হাঁকিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। সেই ম্যাচে ১৩১ বলে ৫৫ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়ে মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ স্পিনার মুলানি বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলা শেষ করে এসেছিল সে, লম্বা সময় লাল বলে খেলেনি। তবু যেভাবে পারফরম করেছে, কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেছে সেটা অসাধারণ।’
রঞ্জি ট্রফিতে যখন অভিষেক হয়েছিল মুশির খানের তখন তাঁর ভাই সরফরাজ খান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, বাকিরা যে যত ভালোই করুক মুশির সবসময়ই সবার চেয়ে বেশি ভাল করবে। ভাইয়ের এমন বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েছেন খান পরিবারের ছোট সন্তান। সরফরাজের মতই মুম্বাইয়ের আস্থা হয়ে উঠেছেন, হয়তো আগামী দিনে আকাশী-নীল জার্সিতেও ভরসা হবেন তিনি।