ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শততম উইকেটের অপেক্ষা ফুরিয়েছে তাসকিন আহমেদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। চারিথ আসালঙ্কাকে আউট করার মধ্য দিয়ে শত উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ ঘটে তাঁর। মাত্র অষ্টম বাংলাদেশী হিসেবে মর্যাদার এই ক্লাবে প্রবেশ করতে পেরেছেন এই পেসার।
এর আগে সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ রফিক সহ হালের মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন। যদিও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন কেবল সাকিব, মাশরাফি এবং রাজ্জাক।
তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে এই তিনজনের কেউই অবশ্য দ্রুততম নন। মুস্তাফিজুরের দখলে রয়েছে সবচেয়ে কম ইনিংসে শত উইকেট পাওয়ার কীর্তি। মাত্র ৫৪ ইনিংস লেগেছিল তাঁর, তবে এরপরই ফর্ম হারিয়ে বসেন তিনি। সর্বশেষ ৪৯ ম্যাচে কেবল ৬২ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁ-হাতি।
দ্বিতীয় দ্রুততম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডে ফরম্যাটে শততম উইকেট পেয়েছেন কিংবদন্তি স্পিনার রাজ্জাক। ৬৯ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে একশ উইকেট শিকারের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে আরাধ্য মাইলফলক স্পর্শ করতে তাসকিনের লেগেছে ৭২ ইনিংস। অর্থাৎ দ্রুততম শততম উইকেটশিকারীর তালিকায় তিন নম্বরে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। আপাতত তাঁকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কেউই নেই; বর্তমানে খেলছেন এমন বোলারদের মাঝে সবচেয়ে কাছাকাছি আছেন শরিফুল ইসলাম, ৩৫ ম্যাচে ৫৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
ওয়ানডে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা দেন তাসকিন আহমেদ। পরের বছর ২০১৫ বিশ্বকাপে দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর ইনজুরির কারণে ছন্দ হারিয়ে বসেন, জাতীয় দলেও জায়গা হারান।
তবে হাল ছাড়েননি এই তারকা, লড়াই চালিয়ে যান একাকী। এরই সুবাদে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর, সেই থেকে লাল-সবুজের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। পরিশ্রম আর দৃঢ়তার পুরষ্কার হিসেবে এবার একশ উইকেট ঝুলিতে পুরলেন, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আগামী দিনেও বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিবেন ঢাকা এক্সপ্রেস – এমনটাই প্রত্যাশা ভক্ত-সমর্থকদের।