ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বোধহয় এখনো দু:স্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে পারেননি, রিশাদ হোসেন তাঁর সঙ্গে যা করেছেন তাকে দুঃস্বপ্ন বললে আসলে কম বলা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটারদের মুখোমুখি হয়েও যেটা দেখেননি তিনি, সেটাই দেখতে বাধ্য হয়েছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে; সেদিন রিশাদ রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছেন লঙ্কান লেগিকে। মাত্র ১১ বল মোকাবিলা করেই তাঁর বিপক্ষে ৪০ রান করেছিলেন এই টাইগার তরুণ।
এই ম্যাচে হাসারাঙ্গার বলে মোট চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এর আগে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও তাঁকে দুইবার বাউন্ডারি ছাড়া করেছিলেন এই ডানহাতি। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি ছয়টি ছক্কা মেরেছেন হাসারাঙ্গার ওভারে।
অতীতে আর এক ব্যাটার পেরেছেন শ্রীলঙ্কান এই বোলারের বিপরীতে এতটি ছয় হাঁকাতে। তাঁর বলে এখন পর্যন্ত ছয়টি ছয় হাঁকিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি এসেছে আরেক অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে। পরের অবস্থানেই আছেন সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাঁর ঝুলিতে আছে চারটি ছক্কা। সমান সংখ্যক ছয় মেরেছেন কাইরন পোলার্ডও।
কেবল ছক্কার রেকর্ডই নয়, প্রথমবারের মত ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এক ওভারে বিশ রানের বেশি আদায় করার কীর্তিও গড়েছেন রিশাদ হোসেন। তৃতীয় ওয়ানডের চল্লিশতম ওভারে তিনটি চার ও দুইটি ছয়ের মারে ২৪ রান তোলেন তিনি, এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত এক ওভারে বিশ রানের বেশি খরচ করার তিক্ত স্বাদ পান শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
অবশ্য তাঁর এক ওভারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও আদায় করেছেন বাংলাদেশী এই বোলিং অলরাউন্ডার, ২৪ রান নেয়ার আগের ওভারেই দুই ছয় আর এক চারে ১৬ রান করেছিলেন তিনি। যদিও এই রেকর্ড আছে আয়ারল্যান্ডের ক্রিস গেভেসের, তিনিও হাসারাঙ্গার এক ওভারে তুলেছিলেন ১৬ রান।
বাংলাদেশের জার্সিতে এখনও নতুন রিশাদ হোসেন, আগামী দিনগুলোতে নিশ্চয়ই আরও অনেক বোলারের মুখোমুখি হবেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মত তাঁদের ওপরও আধিপত্য বিস্তার করবেন তিনি, এমনটাই প্রত্যাশা লাল-সবুজের ভক্ত সমর্থকদের।