নার্ভাস নাইন্টির সুবাদে খানিক স্বস্তি বাংলাদেশের

একটা পর্যায়ে চালকের আসনে বসতে সক্ষম হয় উইন্ডিজ, বাংলাদেশ তখন হন্যে হয়ে খুঁজছিল একটা ব্রেক থ্রু।

ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি হাত-ছানি দিয়ে ডাকছে, আর এক পা এগুলেই প্রবেশ করা যাবে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে – ঠিক তখনই ছন্দপতন, নার্ভাস নাইন্টিতে বন্দি হলো আরাধ্য স্বপ্নটা। একবার নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে এই দৃশ্য দুইবার দেখতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

সেঞ্চুরি থেকে এক পা দূরে থাকতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়েছে ওপেনার মিকাইল লুইস ও অ্যালিক এথানেজকে। লুইস আউট হয়েছেন ৯৭ রান করে, আর এথানেজ থেমেছেন ৯০ রান করে। অবশ্য দু’জনের আউটের ধরনেই মিল আছে, স্নায়ুচাপে টিকতে না পেরে বড় শট খেলতে গিয়ে ফাঁদে পড়েছেন তাঁরা।

৮৪ রানে তিন উইকেটের পতন ঘটলে জুটি গড়েন দুই ব্যাটার, প্রথম দিকে রয়ে সয়ে খেললেও সময় বাড়তেই আত্মবিশ্বাসী সব শট খেলতে শুরু করেন। একটা পর্যায়ে চালকের আসনে বসতে সক্ষম হয় উইন্ডিজ, বাংলাদেশ তখন হন্যে হয়ে খুঁজছিল একটা ব্রেক থ্রু।

অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ তখন এসেছেন ত্রাতা হয়ে, শতকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নার্ভাসনেসে ভোগা লুইসকে ফাঁদে ফেলেছেন ফ্লাইটের সাহায্যে। স্রেফ তিন রানের জন্য পূর্ণতা পায়নি ক্যারিবীয় তারকার এমন ইনিংস।

অন্যদিকে, এথানেজ সুইপ শটে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিললন পুরো ইনিংস জুড়ে। কিন্তু নব্বইয়ের ঘরে ঢুকতেই মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে বোধহয়। এক্সট্রা বাউন্স বুঝে ওঠার আগেই সুইপ করে বসেন তিনি, ফলাফল ক্যাচ।

এই তরুণের জন্য আক্ষেপটা অবশ্য একটু বেশিই, কেননা এক ম্যাচ আগেই তো একই ঘটনা ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আউট হন ৯২ রানের মাথায় – সেঞ্চুরি মিসের দুঃখ তাঁকে বোধহয় পছন্দ করে।

পরিচিত-অর্ধপরিচিত ক্রিকেটারদের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পাইয়ে দেয়ার সুখ্যাতি আছে বাংলাদেশের, তবে এই যাত্রায় সেটা হয়নি। আর তাতেই দিনের শেষভাগে স্বস্তি ফিরলো টাইগার শিবিরে, ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ।

Share via
Copy link