বছরের পর বছর ধরে আইসিসি ট্রফির খরায় ভুগছে ভারত। বারবার শেষ অবধি গিয়ে ‘চোক’ করছে ভারত। সেই ট্রফি শুণ্যতার কথা মাথায় রেখেই এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রবেশ করবেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা।
জুনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আর ঘরের দুয়ারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার জন্য ফর্ম, ফিটনেস আর টেকনিক নিয়ে কাজ করার সুযোগ হতে পারে আইপিএল ২০২৪। তাই নিজেদের ঝালাই করে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ ভালভাবেই কাজে লাগাতে চাইবেন তাঁরা।
বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-কে এখন অনেক ভেবে চিন্তে দল সাজাতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রোহিতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হিসেবে মনোনিত করেছে। তবে কোহলিকে দলে রাখা না রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবা, কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
কেননা, ভারতের জন্য তিনি একজন জয়ের অবতার। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নয় ইনিংসে করেছেন ৫১৮ রান। যার মধ্যে অপরাজিত ছিলেন আটবার। গত মৌসুমে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গলোরের হয়ে করেন ১৪ ম্যাচে ১৩৯.৮২ স্ট্রাইক রেটে ৬৩৯ রান। বিসিসিআই তাঁর মত তুরুপের তাসকে দলের বাইরে রাখবে কিভাবে?
যৌক্তিকভাবেও ধরা হচ্ছে, নির্বাচকরা যদি রোহিতকে বেছে নেন, তবে কোহলিকেও বেছে নিতে হবে। ক্রিকেটের নবীনতম ফরম্যাটে পুরনো রক্ষীতেই ভরসা রাখবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
যদিও, ২০২২ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ধরেই নেয়া হয়েছিল এই দুজন আর টি-টোয়েন্টিতে ফিরবেন না। তবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ব তাঁদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সে ধারণা বদলে দেয়।
সর্বশেষ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর রোহিত বলেছিলেন, ‘এটি মানুষের খাঁটি ভালবাসা ছিল। দেখে অবাক লাগলো। এটি আপনাকে ফিরে আসতে এবং আবার কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
এবার সময় এসেছে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ার। ভারতের ট্রফি খরা থেকে উদ্ধার করার জন্য রোহিত- কোহলি যুগলের এটাই সুবর্ণ সুযোগ ।