পিএসএল থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের দাবিদার

অনেক নামীদামী বিদেশি তারকা এবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে আসেননি। তাই তো নবম আসর কেমন হবে সেটা নির্ভর করছিল পাক ক্রিকেটারদের ওপরেই। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তাঁরা; বাবর আজমদের পাশাপাশি অনেক তরুণ তুর্কি পারফরম্যান্স দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন এই টুর্নামেন্ট।

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এই তরুণদের নিয়ে তাই স্বপ্ন দেখতে পারে পাকিস্তান। পিএসএলের কল্যাণে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে পারেন এমন কয়েকজনকে দেখে নেয়া যাক।

  • হায়দার আলী 

অফ ফর্মের কারণে শুরুতে দল পাননি হায়দার আলী। তবে পরবর্তীতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড তাঁকে স্কোয়াডে ভেড়ায়। হঠাৎ প্রমাণের মঞ্চ জ্বলে ওঠেন তিনি, পাঁচ ইনিংসে ১৬৩.৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ১০৩ রান।

বড় রান করার চেয়ে ইম্প্যাক্টফুল রান করার দিকেই বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর, এমন ব্যাটারই এখন বড্ড প্রয়োজন পাকিস্তানের। সেজন্য আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে দেখা যেতে পারে এই ডানহাতিকে, সেখানে ভাল করলে মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট।

  • ইমাদ ওয়াসিম

এবারের পিএসএলে ইমাদ ওয়াসিমের ফর্ম হাসি ফুটিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্টের মুখে। ১২৬ রান করার পাশাপাশি ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি; আবার শেষ তিন ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবশ্য অবসর নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার, কিন্তু এখন জাতীয় দলে ফেরার দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।

  • মেহরান মুমতাজ 

মিস্ট্রি স্পিনার মানেই বিশেষ কিছু, তাই মেহরান মুমতাজের দিকে বাড়তি নজর ছিল প্রায় সবার। হতাশ করেননি এই তরুণ, পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট আর ওভার প্রতি খরচ করেছেন মোটে ৬.৬৩ রান।

চমক হিসেবে তাঁকে পাকিস্তান দলে জায়গা দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদিও বিশ্বকাপে নেয়ার আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে নিশ্চয়ই মুমতাজের পরীক্ষা নেয়া হবে।

  • আবরার আহমেদ 

মেহরান মুমতাজকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকলেও আবরার আহমেদের ক্ষেত্রে সেটি নেই। দশ ইনিংসে ১৬ উইকেট শিকার করা এই স্পিনার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন। তবে, এতদিন কেবল লাল বলে তাঁকে নিয়ে ভাবা হতো, কিন্তু এখন টি-টোয়েন্টিতেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই স্পিনার।

  • উসমান খান 

পিএসএলের নবম আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ঠিকই কিন্তু উসমান খানের অগ্রাধিকার কিন্তু পাকিস্তানের জার্সিতে খেলা। আরব আমিরাতের হয়ে খেলার জন্য আরো ১৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে, যদিও পিএসএলে এমন পারফরম্যান্স দেখানোর পর পিসিবি নিশ্চিতভাবেই ধরে রাখতে চাইবে এই ব্যাটারকে।

মাত্র সাত ইনিংস খেলে ৪৩০ রান করেছেন উসমান, ব্যাটিং গড় ১০৭ আর স্ট্রাইক রেট ১৬৪! দুই দুইটি শতক হাঁকিয়েছেন তিনি – তাই তো পরিস্থিতি জটিল হলেও বাবর আজমদের সতীর্থ হিসেবে তাঁর পাকিস্তান দলে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link