প্রচণ্ড স্পৃহাই কোহলিকে বানিয়েছে ‘বিরাট’

তিনি রান মেশিন। তার মত রান করতে পারা, রান করে দলকে জেতাতে পারার ক্ষমতা- সেটা ক’জনারই বা আছে। জাতীয় দল কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)- সব জায়গাতেই তিনি ‘দ্য চেজ মাস্টার’। ব্যাট হাতে তিনি যেন এক ভিন্ন চরিত্র। আর তা যদি হয় রান তাড়ায়, তবে তো কথাই নেই।

এবার তো দুই ম্যাচ খেলেই আইপিএলের কমলা টুপির মালিক বনে গেছেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের জন্যে থাকে এই সম্মাননা। তবে এখন তাঁর কাছে এই ক্যাপ অর্জনের চেয়ে দলের জন্য কিছু করতে পারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কোহলি।

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪৯ বলে ১৫৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৭৭ রানের ম্যাচ জয়ী একটা ইনিংস খেলেন কোহলি। যেখানে ছিল ১১ টি চার এবং ২ টি ছয়ের মার। যে ইনিংসে ভর করে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

তিনি ৩১ বলে খেলেই ৫১ তম আইপিএল ফিফটি তুলে নেন। টি-টোয়েন্টিতে ১০০ তম অর্ধশতকও তুলে নেন বিরাট। তাতে করে ক্রিস গেইল আর ডেভিড ওয়ার্নারের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে নিজের নাম লেখান ভারতীয় এই ক্রিকেটার। স্যাম কারানকে পিছনে ফেলে দুই ম্যাচ খেলেই অরেঞ্জ ক্যাপ অর্জন করেন তিনি। নিজের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে করেন ২১ রান।

ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে অরেঞ্জ ক্যাপ গ্রহণ করার সময় বিরাট ভক্তরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। আর তাদের উদ্দেশ্য করেই কোহলি বলেন, ‘উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই, সবে মাত্র দুইটি ম্যাচ শেষ হল। আমি জানি এর মানে কি।’

কোহলি তাঁর ভক্তদের জন্য খুবই আন্তরিক, সেই সাথে তাঁর ফ্রাঞ্চাইজির জন্যেও। তিনি আইপিএলে ব্যাঙ্গালুরু ছাড়া অন্য কোনো ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে এখনো খেলেননি। তিনি বলেন, ‘এটা বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে। আপনি যখন ভাল খেলেন তখন সবাই আপনার প্রশংসা করবে। তবে পিছনে ফিরে তাকালে দেখবেন কিছু সুখ স্মৃতি। যা আপনাকে আনন্দ দিবে।’

অরেঞ্জ ক্যাপ বিষয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি অরেঞ্জ ক্যাপ বা এসব কিছুর জন্য খেলি না। বরং এটি একটি সুযোগ , যেখানে আমি  ভারত এবং আরসিবির জন্য কিছু করতে পারি। আমি সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি, তবে অরেঞ্জ ক্যাপের না। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আরো ভাল করার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link