অবশেষে শর্ট বলেও ‘মাস্টার’ শিভাম দুবে

স্পিন বলে দুর্দান্ত খেলেন শিভাম দুবে। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে পেসারদের বিরুদ্ধেও নিজেকে মেলে ধরেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। বিশেষ করে শর্ট লেন্থের বলগুলোতে।

আইপিএলের সাত নম্বর ম্যাচে মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস আর গুজরাট টাইটান্স। সেই ম্যাচে ২২১.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৫টি ছয়, ২টি চারে ২৩ বলে ৫১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন দুবে। চেন্নাইয়ের জয়ে বিশেষ ভূমিকা রেখে হন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

স্পিন বলে যেকোনো দিকে খেলতে পারেন দুবে। তাই যখন গুজরাটের সাই কিশোরের বলে পর পর দুইটি ছক্কা হাঁকান, তখন তা আশ্চর্যের বিষয় হলেও দুবের জন্য আহামরি কিছু ছিল না। তবে আঠারোতম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাশিদ খানের গুগলিতে আটকা পড়েন তিনি।

এবারের আইপিএলে বাউন্সারের জবাব দারুণভাবে দিয়েছে শিভাম দুবে। বেশ সাবলীল ভাবেই শর্ট লেন্থের বলগুলো খেলেছেন তিনি। গুজরাটের পেস বোলারদের করা ১৭ টি বল থেকে আদায় করেন ৩১ রান। যেখানে ২৩ রানই আসে ১৩টি শর্ট লেন্থের বল থেকে।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমি বলের ধরণ অনুযায়ী ব্যাটিং করেছি। আর তা আমাকে সাহায্য করেছে। আমি জানি তার শর্ট বল করবে, তবে আমি তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তাঁরা (চেন্নাই সুপার কিংস) আমার কাছ থেকে বেশি স্ট্রাইক রেট প্রত্যাশা করে আর আমি সেটাই চেষ্টা করেছি।’

স্পিন বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক খেলার সুনাম নিয়েই আইপিএলে এসেছিলেন দুবে। তাই তাঁকে পেসারদের বিরুদ্ধেও ভাল খেলা জরুরী ছিল। আর তা চেন্নাইয়ের কোচিং স্টাফদের কাছে এটি অন্য রকম চ্যালেঞ্জই ছিল।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি বলেন, ‘এক- দুই বছর আগেও বোলাররা প্রচুর শর্ট বল করত। ও (দুবে) হয়তো সরে যেত অথবা বলকে থামিয়ে দিত। এখনও বোলাররা আগের মত পরিকল্পনা নিয়ে আসে। তবে এখন দুবে সেখান থেকেও রান করতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link