ভারতের হয়ে খেলেছেন এক সাথে। এক সাথে বিশ্বকাপ জিতেছেন। একে অন্যের নেতৃত্বেও খেলেছেন। অথচ, তাঁদের বৈরিতার গল্প নিয়ে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ খরচ করা যাবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগে বাতাসে ছিল ‘বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর’ দ্বৈরথের ঘ্রাণ। তবে মাঠে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র, পুরনো শত্রুতা ভুলে একে অপরকে আপন করে নিলেন তাঁরা। তাতেই মুগ্ধ হয়েছে ক্রিকেটভক্তরা।
ম্যাচের তখন ষোল ওভার শেষ হয়েছে, সেসময় টাইম আউট বিরতিতে মাঠে প্রবেশ করেন কলকাতার মেন্টর গম্ভীর। তখন ক্রিজে থাকা কোহলির সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে, এমনকি দু’জনে এক পর্যায়ে জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে। ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী নিজেও খুশি লুকিয়ে রাখতে পারেননি এমন দৃশ্য দেখে।
অথচ আগের দেখায় অপ্রত্যাশিত সব মুহূর্তের জন্ম দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকা। গত মৌসুমের কথা, গৌতম গম্ভীর লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরের ভূমিকায় ছিলেন। লক্ষ্মৌ বনাম ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচে বিরাট কোহলির সঙ্গে খানিকটা বাকবিতন্ডা হয় আফগান পেসার নাভিন উল হকের।
আর সেটার জের ধরেই ম্যাচ শেষে দ্বন্দে জড়ান তাঁরা। সতীর্থরা আলাদা করতে চাইলে বারবার তেড়েফুঁড়ে গিয়ে আক্রোশ দেখিয়েছিলেন – সবমিলিয়ে বাজে পরিস্থিতি বলা চলে একে। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর তোপের মুখে পড়ে সেবার জরিমানা গুণতে হয়েছিল তাঁদের।
অবশ্য এই দুই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত রেষারেষি বহু পুরোনো। গৌতম গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক থাকাকালীন সময়েও একাধিকবার ব্যাঙ্গালুরুর পোস্টার বয়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেছিলেন।
তাই তো দুই কিংবদন্তির খুনসুটি হাসি ফুটিয়েছে ভারতীয় ভক্ত-সমর্থকদের মুখে। অনেক অপেক্ষা আর প্রার্থনার পর এমন দৃশ্য দেখতে পেরেছেন তাঁরা; আর এই দৃশ্য অনেকদিন নিশ্চয়ই হৃদয়ে লালন করবেন।