মিরাজের আফসোস ও সম্ভাবনা

ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান নাই। তৃতীয় দিনে মাঠেই নামতে পারেননি তিনি!

দলের সেরা বোলারকে ছাড়াই মাঠে নামতে হলো বাংলাদেশকে। বরাবরের মতো চাপটা ছিল বাকি তিন স্পিনারের উপর। চাপটা ভালো ভাবেই সামাল দিয়েছেন মিরাজরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮ উইকেটই গেছে বাংলাদেশের স্পিনারের ঝুলিতে। সাকিবের অনুপস্থিতি বুঝতেই দিলেন না তাঁরা। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও  নেতৃত্ব দিয়েছেন মূলত মিরাজই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করতে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখেন মেহেদি হাসান মিরাজ।  তাইজুল এবং নাইম নিয়েছেন ২ টা করে।

ব্যাটে ও বলে মেহেদি হাসান মিরাজ যেন উড়ছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে একটা জায়গায় ছিল এতোদিন শূন্যের আধিপত্য। হ্যাঁ সেটা ছিল ক্যারিয়ারে এতোদিন একটা সেঞ্চুরি ছিল না তাঁর। অবশেষে শতকের দেখাও পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে বাংলাদেশ  বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মূলত তাঁর  শতকের সাহায্যেই।

শুধু কী ব্যাটিংয়ে? বোলিংয়েও ম্যাচে সবচেয়ে উজ্জ্বল এই অলরাউন্ডার।  বাংলাদেশকে ১৭১ রানের লিড এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা তো মিরাজই রেখেছেন।  চার উইকেট নিয়েছেন। স্বীকৃত ক্রিকেটে মিরাজ চার বা তাঁর অধিক উইকেট নিয়েছেন ২০ বার।

আর মাত্র একটা উইকেট পেলে মিরাজ ঢুকে যেতেন অলরাউন্ডারের এক অভিজাত ক্লাবে।  যাদের আছে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার অনন্য রেকর্ড।

একাধিক বার এই রেকর্ড আছে ইংলিশ অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের।  মোট ৫ বার এই রেকর্ড আছে তাঁর। এছাড়া ইমরান খান, জ্যাক ক্যালিসেরও এই রেকর্ড আছে। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের এই রেকর্ড আছে ২ বার। আরেক বাংলাদেশী সোহাগ গাজীর একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট আছে। সাকিব পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সোহাগ গাজীর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

একটা জায়গায় রেকর্ড তো করেছেন মিরাজ। টেস্টে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও চার উইকেট নেওয়া তৃতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার যে মেহেদী হাসান মিরাজ।

তবে মিরাজের এলিট ক্লাবে ঢোকার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিতে পারলে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ও ১০ উইকেট শিকার করাদের বিরল এক ক্লাবে ঢুকে যাবেন মিরাজ। এই তালিকায় এর আাগে ৪ জনের নাম আছে-অ্যালান ডেভিডসন, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান ও সাকিব আল হাসান এই কীর্তি করেছেন।

প্রথম তিন জনই এই কাজ করেছেন ১৯৮৩ সালের আগে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই কীর্তি আছেন কেবল সাকিবের। তিনি ২০১৪ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ও দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link