নামের জোরেই বিশ্বকাপ খেলবেন হার্দিক!

নিয়মিতভাবে অনিয়মিত পারফরম্যান্স করার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েই যাচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবুও নিজের নাম লিখে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। অথচ দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজার করে দেয়া রিঙ্কু সিংয়ের জায়গা হয়নি সেখানে।

হার্দিক পান্ডিয়া যে পারফরম করতে পারছেন না, সেকথা সবারই জানা। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) তারই প্রমাণ। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তাঁর জায়গা হয়েছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দলে। শুধু দলের সদস্যই নয়, তিনি ভারতের সহ-অধিনায়ক হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখবেন।

তাইতো সাবেক ক্রিকেটারদের কাছেও বিষয়টি নজর এড়ায়নি। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া মন্তব্য করলেন দলে হার্দিকের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। তাঁর মতে যেখানে শিভাম দুবের মত খেলোয়াড়কে যুক্ত করা হয়েছে, সেখানে আবার হার্দিককে নেয়া অযৌক্তিক। অধারাবাহিক হার্দিকের বদলে রিঙ্কু সিংকে স্কোয়াডে রাখা যেত। তিনি মনে করেন দুবে এবং রিঙ্কু – দু’জনই থাকলে ভারতের দল আরো শক্তিশালী হতে পারতো।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানসম্মত খেলোয়াড়ের জন্য ভারতের বেশ সুনাম আছে। সম্প্রতি যশস্বী জয়সওয়াল, আঙকৃষ রঘুবনশির মত খেলোয়াড়রা তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। মায়াঙ্ক যাদবের গতি সবার ভাবনার বাইরে ছিল। আবার অভিষেক শর্মার শক্তিশালী ব্যাটিং দক্ষতাও সবার নজর কেড়েছে। তবে এদিক থেকে রিংকুর বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি মনে করি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দলে তাঁকে রাখা উচিত ছিল।’

আবার হার্দিকের বিষয়ে কানেরিয়া আরো বলেন, ‘যদি চলমান আইপিএলের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়, তবে হার্দিক পান্ডিয়াকে দলের বাইরে রাখা উচিত। সে পুরো আসরেই অধারাবাহিক ছিল। তাছাড়া দলে নেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই শিভাম দুবেকে, যে কিনা চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অসাধারণ খেলে যাচ্ছে। স্কোয়াড মোটামুটি ঠিকই আছে। তবে রিংকু এবং দুবে ভারতের ডাউন অর্ডারে বেশ কার্যকরী যুগল হতে পারতো।’

তবে রিংকু সিংয়ের জায়গা হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে। যেখানে আছে শুভমান গিল, খলিল আহমেদ এবং আবেশ খান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কুর এখনো সুযোগ আছে দলে জায়গা পাওয়ার। কেননা আগামী ২৪ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনতে পারবে বোর্ড।  তবে তারপর থেকে আইসিসির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে, কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়া ব্যাতীত ভারতীয় দলে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলে মনে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link