ব্যঙ্গ বিদ্রুপ আর সমালোচনাকে পাশে সরিয়ে রিয়ান পরাগের ওপর নিঃশর্তে ভরসা করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। অনেক অপেক্ষার পর সেই আস্থা প্রতিদান দিতে শুরু করেছেন তিনি, চলতি আইপিএলে ব্যাটিং ভরসা হয়ে উঠেছেন। তাঁর ধারাবাহিকতা মুগ্ধ করেছে প্রায় সব ক্রিকেটপ্রেমীকে।
এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে ১৮১ রান করেছেন এই তরুণ; বিরাট কোহলি কিংবা হেনরিখ ক্লাসেন নয়, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্বীকৃতি স্বরূপ অরেঞ্জ ক্যাপ এখন তাঁর মাথায় শোভা পাচ্ছে। টানা দুই ম্যাচে হাঁকিয়েছেন দুই হাফসেঞ্চুরি – সবমিলিয়ে অনন্য এক রূপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।
পারফরম্যান্সের এমন ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এই ডানহাতি বলেন, ‘সত্যি বলতে তেমন কিছু করিনি। আগে রান না পেলে অনেক কিছু ভাবতাম, একসাথে অনেক কিছু করার চেষ্টা করতাম ফলে কিছুই ঠিকঠাক হতো না। এবার একদম সহজভাবে ভাবছি – শুধু বল দেখা আর মারা।’
সর্বশেষ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন তিনি, সেটি নিয়ে বলেন, ‘যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ব্যাট করতে হয়। যখন জস ভাই আউট হলো, অ্যাশ ভাই একটু পর আউট হলো তখন মনে হচ্ছিলো – এটাই তো আমার কাজ, গত ছয় মাস ধরে ঘরোয়াতে এমন ম্যাচ জেতাচ্ছি।’
২০১৯ সালে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এই উদীয়মান তারকার, অভিষেক মৌসুমে ভাল করলেও এরপর নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। গত চার আসরে স্রেফ একবার ১০০ রানের গন্ডি পেরুতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সব ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে নিজেকে চেনাতে শুরু করেছেন – তাঁর প্রতিভার প্রতিফলন বাইশ গজে দেখা যাচ্ছে।
ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য নিয়ে রিয়ান বলেন, বহের তিন-চার বছর আমি একদমই পারফরম করিনি। তো আমি চেষ্টা করেছি ভুল খোঁজার, তখন বুঝেছি আমি যথেষ্ট অনুশীলন করছি না। তাই ২০২৩ আইপিএলের পর থেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রম করতে শুরু করেছি। এবং আমার মনে হয় পরিশ্রমের ফল এখন পাচ্ছি।’