বারবার তীরে এসে তরি ডোবানোর স্বভাব দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে; সেই স্বভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তরুণ ট্রিস্টান স্টাবসও। বারবার নিজের সেরাটা উজাড় করে দেয়ার পরও অল্পের জন্য জয়ের হাসি হাসতে পারছেন না তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শেষদিকে একাই লড়াই করেছিলেন এই তারকা; সেই ম্যাচেরই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে।
এদিন মাত্র ২৫ বল খেলে ৭২ রান করেছেন; এই ইনিংস খেলার পথে তিনটি চারের বিপরীতে সাতটি ছয় মেরেছেন তিনি। যদিও জয়ের জন্য এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং যথেষ্ট হয়নি, দিল্লি ক্যাপিটালস হেরে গিয়েছে ২৯ রানের বড় ব্যবধানে।
চার নম্বরে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন এই ডানহাতি, পীযুষ চাওলার এক ওভারে হাঁকিয়েছেন দুই ছয়। এরপর নিজের তান্ডব চালিয়েছেন বাকি বোলারদের উপরেও। মাত্র ১৯ বলেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। বাকিটা সময়ও বাউন্ডারির নেশায় ছিলেন প্রোটিয়া তারকা, তবে দিন শেষে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
বাকিদের মাঝে পৃথ্বী শ ৪০ বলে ৬৬ রান করেছেন। টপ অর্ডারে ২৩৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিনিই লড়াই করার সাহস দেখিয়েছিলেন করেছিলেন; এমনকি একটা সময় মনে হয়েছিলো দিল্লি ক্যাপিটালস ভালভাবেই ম্যাচে টিকে রয়েছে। কিন্তু বড় রান তাড়া করার জন্য যথেষ্ট ছিল না তাঁর পারফরম্যান্স।
অবশ্য হেরে গেলেও স্টাবসের ব্যাটিং প্রশংসা কুড়িয়েছে সবার। দুর্দান্ত পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য দেখিয়ে অসম্ভব একটা সমীকরণ মেলাতে চেয়েছিলেন তিনি; সেই চাওয়া পূরণ না হলেও তাঁর পারফরম্যান্সে মন ঠিকই ভরেছে ভক্ত-সমর্থকদের।
এর আগে রোহিত শর্মা মুম্বাইকে এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত সূচনা, ঈশান কিষাণকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লেতেই করেছিলেন ৭৫ রান। যদিও এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর, ঈশানও আউট হয়েছেন ৪২ রান করে। তবে দুই ওপেনার যা করেছেন সেটিই যথেষ্ট হয়েছে পরের দিকের ব্যাটারদের জন্য।
টিম ডেভিড আর রোমারিও শেফার্ড তো ম্যাচের গতিপথই বদলে দিয়েছেন। অজি ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ বলে ৪৫ রান, অন্যদিকে উইন্ডিজ তারকা স্রেফ ১০ বল খেলে করেছিলেন ৩৯ রান। সপ্তম উইকেটে তাঁদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বদৌলতেই আসরের প্রথম জয় পেয়েছে মুম্বাই।