সাম্প্রতিক সময়ে সুরিয়াকুমার যাদব ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু গত বছরের শেষদিকে চোটে পড়েন তিনি, আর সেটা তাঁকে মাঠের বাইরে ছিটকে ফেলেছিল কয়েক মাসের জন্য। ফলে শঙ্কা জেগেছিল বিশ্বকাপের আগে তাঁর মাঠে ফেরা হবে কি না, ফিরলেও আগের সেই ছন্দ থাকবে কি না সেটা নিয়েও সংশয় ছিল। তবে সব শঙ্কা আর সংশয় উড়িয়ে দিয়ে এই ব্যাটার ফিরেছেন, আইপিএলের মাঝপথে যোগ দিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে।
পারফরমও করছেন নিজের মত করে, ঠিক যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই আবার শুরু করেছেন। সবশেষ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি, প্রায় ১৫০ স্ট্রাইকের এই ইনিংসে ভর করেই শেষপর্যন্ত ১৯২ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে মুম্বাই।
তৃতীয় ওভারে ঈশান কিষাণ আউট হলে উইকেটে আসেন সুরিয়া। শুরু থেকেই বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন তিনি, কাগিসো রাবাদাকে টানা দুই চার মেরে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। এরপর অবশ্য অতি আগ্রাসী না হয়ে দেখেশুনেই খেলেছেন। তবে বাজে বল পেলে বাউন্ডারি হাঁকাতে ভুল হয়নি তাঁর।
৩৪ বলে এদিন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ডানহাতি, চলতি আইপিএলে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতক। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি, কিন্তু সেদিন বড় রান করতে পারেননি। তাই তো পাঞ্জাবের বিপক্ষে অতৃপ্তি কিছুটা হলেও পূরণ করেন।
শেষমেশ আউট হওয়ার আগে নিজের নামের পাশে আরো ২৮ রান যোগ করেন এই তারকা, যদিও সেজন্য তাঁর লেগেছিল ১৯ বল। অর্থাৎ শেষদিকে ঠিকঠাক রানের গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। হয়তো লম্বা সময়ের বিরতি কাটিয়ে এখনো সেরা ছন্দে আসতে পারেননি, তাছাড়া আগের মত আন অর্থোডক্স শটও তাঁকে তেমন একটা খেলতে দেখা যায়নি।
তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেরা ব্যাটারের রানে ফেরাটা স্বস্তি হয়ে এসেছে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানের, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও তাই তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে টিম ইন্ডিয়া। আইপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস নামক জ্বালানি পেলে সেই স্বপ্ন পূরণের কাজটা সহজ হবে নিশ্চয়ই।