টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে সরব ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গন, কারা থাকবেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তা নিয়ে চলছে বিস্তার আলোচনা। যদিও এসব আলোচনায় তেমন একটা শোনা যাচ্ছে না তিলক ভার্মার নাম। কিন্তু চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ঠিকই নিজের মত করে পারফরম করে যাচ্ছেন তিনি; অনেকটা নীরবেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন তিনি।
কখনো রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণরা উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন আবার কখনো ডেথে ঝড় তুলেছেন টিম ডেভিড – তবে এদের মাঝে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে আলাদাভাবে আলো কেড়েছেন তিলক। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই নিয়মিত রান করছেন তিনি, দলের মিডল অর্ডার সামলাচ্ছেন শক্ত হাতে।
সবশেষ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে দলের বিপর্যয়ে ৪৫ বলে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। পাঁচ চার ও তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ভর করেই ম্যাচে ফিরেছে মুম্বাই। দলের অধিকাংশ ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে তাঁর এমন ব্যাটিং লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে দলটিকে।
এই বাঁ-হাতি যখন উইকেটে আসেন তখন রীতিমতো খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছিল রোহিত শর্মারা। দ্বিতীয় ওভারেই দুই ওপেনার বিদায় নিয়েছিলেন, খানিক পরে একই পথে হেঁটেছেন ইনফর্ম সুরিয়াকুমার যাদবও। ফলে বড়সড় লজ্জার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, কিন্তু তিনি সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন নিমিষে; প্রথমে মোহাম্মদ নবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েছিলেন।
এরপর নেহাল ওয়াধেরার সঙ্গী করে শুরু করেন কাউন্টার এটাক, মুহূর্তের মাঝে বদলে যায় ম্যাচের চিত্রপট। দু’জনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে তেরোতম ওভারে দলীয় রান শতকের গন্ডি পেরিয়ে যায়। কয়েক ওভার পরে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই উদীয়মান তারকা।
শেষদিকে অবশ্য হাত খুলে খেলতে পারেননি, সেই আক্ষেপ থাকতে পারে। তবে পুরো দায় তাঁর ওপর দেয়ার সুযোগ নেই। হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিডরা এদিন ডেথে প্রত্যাশিত ঝড়ো ব্যাটিং করতে না পারায় বাড়তি চাপ ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
তবু তিলক ভার্মা যা করেছেন সেটি প্রশংসার দাবিদার। ৫২ রানে চার উইকেট হারানো দলকে পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদ স্থানে, সেটাই প্রমাণ করে তাঁর সামর্থ্য। ঠান্ডা মাথায় কত অনায়াসে রান করতে পারেন তিনি, আরেকবার দেখা গেলো। এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে নিশ্চয়ই আগামী দিনে উন্নতির শিখরে উঠবেন তিনি।