টুর্নামেন্ট থেকে দল ছিটকে গেলেও ছিটকে যাননি বিরাট কোহলি। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে করেন ৭০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। আর এর মাধ্যমেই এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের ৫০০ রান পূর্ণ করেন তিনি।
তাছাড়া যোগ দেন আইপিএলের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০০ রান করার তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে যৌথভাবে ৭ বারের মতো এক মৌসুমেই খেলেন ৫০০ রানের ইনিংস। তারপরেই আছেন শিখর ধাওয়ান এবং লোকেশ রাহুল। তাঁরা উভয়েই পাঁচ বার করে এক মৌসুমে ৫০০ রান করেন।
২০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। তবে বেশিক্ষণ ২২ গজে টিকতে পারেননি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এই নতুন অধিনায়ক। সাই কিশোরের বলে আউট হয়ে সাঝ ঘরে ফিরে যেন তিনি।
তবে তাঁর পরেই শুরু হয় বিরাট কোহলি আর উইল জ্যাকস শো। বোলারদের উপর রীতিমত তান্ডব শুরু করেন এই দুই ব্যাটার। ৭২ বলেই ১৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন তাঁরা। ৯ উইকেট আর ২ ওভার হাতে রেখেই জয়ের পেয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি তাঁর ৭০ রানের ইনিংস্টি খেলতে ৪৪ বল খরচ করেন।
৬ টি চার এবং ৩ টি ছক্কায় সাজান তাঁর ইনিংস। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৯.০৯। যদিও এই ম্যাচে করা সতীর্থদের স্ট্রাইক রেট থেকে কমই ছিল কোহলির স্ট্রাইক রেট। তবে দিনশেষে দলের জয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার।
এবারের আইপিএল ১০ ম্যাচে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে মোট ৫০০ রান করেন বিরাট কোহলি। আর এর মাধ্যমে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিকানা আর শক্ত করলেন তিনি। তবে রানের তালিকায় কোহলি শীর্ষে থাকলেও তাঁর দল টেবিলের একদম তলানিতে। অর্থাৎ কোহলির ভূমিকা দলে তেমন কাজে আসছে না। আর সেটাই এখন ভাবাচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুর ভক্তদের।
যদিও, এই ইনিংসের পরও কোহলির স্ট্রাইক রেট ইস্যুর কোনো সমাধান হয়নি। রোজ রোজ কি তাঁকে আড়াল করতে উইল জ্যাকসরা থাকবেন? আইপিএল না হয় কেটে গেল, বিশ্বকাপে কাকে পাশে পাবেন কোহলি?