ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ। উপমহাদেশ থেকে খেলতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভালো করা বরাবরই কঠিন। তবে অলরাউন্ডার মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন মনে করেন লাইন লেন্থ ঠিক থাকলে যে কোন কন্ডিশনে ভালো করা সম্ভব।
উপমহাদেশের উইকেট গুলো সাধারণতো স্পিন বান্ধব হয়ে থাকে। উপমহাদেশের উইকেটের থেকে নিউজিল্যান্ডের উইকেট গুলো একটি বেশী বাউন্সিং; এবং মাঠে থাকে প্রচন্ড বাতাস। বাতাসের সাথে অভ্যাস্ততা না থাকার কারণে বোলিং করতে সমস্য হয় সফরকারী দল গুলোর। এরকম কন্ডিশনে লাইন লেন্থকে প্রধান অস্ত্র মনে করছেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি যদি ভালো করেন যেকোন কন্ডিশনে, যে কোন উইকেটে ভালো করা সম্ভব। আপনি লাইন এবং লেন্থে করতে না পারেন তাহলে খারাপ হবে স্বাভাবিক। যেটা হবে আমার বেসিকটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
তাসিকন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের সাথে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে স্কোয়াডে রয়েছেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন। এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন দলে জায়গা পেলে নিজের সেরাটাই দিবেন তিনি।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘না এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কন্ডিশনের কারণে যেটা ভালো মনে হবে সেটাই হবে। তবে ইনশাআল্লাহ, আশাবাদী সুযোগ পাওয়া নিয়ে। তারপরও সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
বল হাতে নিজকে প্রমাণ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের অপরিহার্য অংশ হলেও ব্যাট হাতে এখনো নিজকে মেলে ধরতে পারেননি মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন। ব্যাটিংয়ে খুব বেশী সুযোগও পাননি এই অলরাউন্ডার। তবে সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন বোলিং নিয়েই সে বেশী সিরিয়াস।
২৩ ওয়ানডেতে ৩৪ উইকেট ও ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ১৫ উইকেট শিকার করা সাইফউদ্দিন তাঁর বোলিং নিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই, বোলিং তো আমার প্রথম স্কিল, তো ইনশা আল্লাহ, এটা নিয়ে আমি বেশি সিরিয়াস। আশা করি ভালো করবো।’
আজ নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ থেকে শুরু হবে সিরিজ।
সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি:
ওয়ানডে:
২০ মার্চ : ১ম ওয়ানডে – ডানেডিন
২৩ মার্চ : ২য় ওয়ানডে – ক্রাইস্টচার্চ
২৬ মার্চ : ৩য় ওয়ানডে – ওয়েলিংটন
টি-টোয়েন্টি:
২৮ মার্চ : ১ম টি-টোয়েন্টি – নেপিয়ার
৩০ মার্চ : ২য় টি-টোয়েন্টি – অকল্যান্ড
০১ এপ্রিল : ৩য় টি-টোয়েন্টি – হ্যামিল্টন