আমি যা ছুঁই, তা নান্দনিক হয়ে যায়- কথাটা যদি সুরিয়াকুমার যাদব বলেন, তবে তা তাঁকেই মানায়। এবি ডি ভিলিয়ার্স কিংবা ব্রেন্ডন ম্যাককলামকেই স্মরণ করিয়ে দেয় সুরিয়ার একেকটি ইনিংস। নান্দনিক সব শটে ভরপুর থাকে তাঁর ইনিংসগুলো।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জায়গা পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। তবে তাঁর আগে ঘরোয়া ক্রিকেট আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ঘাম ঝড়িয়েছেন বেশ কয়েক বছর। আইপিএলে খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। মুম্বাইয়ে সুরিয়াকুমার তাঁর কারিশমা নিয়মিতভাবে দেখিয়ে যাচ্ছেন।
আইপিএলের ৫৫ তম ম্যাচে মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমেই হিমশিম খায় মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মুম্বাইয়ের যখন টালমাটাল অবস্থা, ঠিক তখনই হাল ধরেন সুরিয়াকুমার যাদব। তিলক ভার্মাকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন ১৪৩ রানের জুটি।
সানরাইজার্সের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত এক ইনিংস। সেই ম্যাচে ৫১ বলে ১২ টি চার এবং ৬ টি ছক্কায় ১০২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০! সবশেষে ৭ উইকেট আর ১৬ বল হাতে রেখেই তিলক ভার্মা এবং সুরিয়াকুমার যাদব জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আর মুম্বাই পায় তাঁদের প্রতিক্ষীত জয়ের স্বাদ।
এবারের আসরে পয়েন্টস টেবিলের একদম তলানিতে অবস্থান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ২০২০ সালের পর তাঁরা পায়নি কোনো শিরোপার স্বাদ। তাঁর উপর হঠাৎই রোহিত শর্মার পরিবর্তে হার্দিক পান্ডিয়াকে দেয়া হয় অধিনায়কত্ব। দলের অবস্থা বিশৃঙ্খল থাকলেও সুরিয়াকুমার ঠিকই তাঁর কাজটি করে যাচ্ছেন।
তাছাড়া গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন মনে রাখার মত সব ইনিংস। সেখানে পান শতক আর অর্ধশতকের দেখা। এবারের আইপিএলেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান এসেছে সুরিয়াকুমারের ব্যাট থেকে। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারো জেগে উঠেছে সুরিয়ার ব্যাট। বিশ্বকাপে ভারতের জন্য মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসার নাম হতে পারে সুরিয়াকুমার যাদব।