পাকিস্তান দলের ধারের কাছেও ছিলেন না হাসান আলী! হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অদ্ভুত এক সিদ্ধান্তে। আর তিনি মাঠে নামা মাত্রই সেই সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে গেল।
অ্যান্ডি বালবির্নি বা লরকান টাকারদের সামনে রীতিমত অসহায় ছিলেন এই পেসার। বছর দুয়েক বাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে ২৯ বছর বয়সী হাসান আলী ছিলেন রীতিমত নিজের সোনালী দিনের ছায়া হয়ে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপের পর তাঁকে আর কখনওই টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচনা করেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) বড় কোনো পারফরম্যান্স নেই।
যদিও, হাসান নাকি পাকিস্তানের পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াহাব রিয়াজ দাবি করেছিলেন, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিনি কাউন্টি ক্রিকেটের দল ওয়ারউইকশায়ারে চুক্তিবদ্ধ হন।
মানে ব্রিটিশ কন্ডিশনে তিনি পাকিস্তান দলের বাকি সদস্যদের চেয়ে আগেই ঢুকে পড়েছিলেন। যদিও, তাতে তেমন কোনো লাভ হয়নি। আয়ারল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষেও খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
আক্ষরিক অর্থেই মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসেন। চার কিংবা ছক্কা হজম করতে কোনো কার্পণ্য করেননি। তবে, ডট বল দিয়েছেন গুণে গুণে। তিন ওভারে রান দিয়েছেন ৪২ টি।
তিন ওভার মিলে ডট দিয়েছেন মোটে দুটি। বাউন্ডারি হজম করেছেন আটটা। এর মধ্যে তিনটা ছক্কা আর চারটি চার।
এতটাই খরুচে ছিলেন যে, অধিনায়ক বাবর আর ডেথ ওভারে তাঁকে কাজে লাগানোর কথা ভাবতেও পারেননি। এরই মধ্য দিয়ে সম্ভবত হাসান আলী পাকিস্তানের বিশ্বকাপ পরিকল্পনার বাইরে চলে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইনজুরি কাটানো হারিস রউফ এখনও ম্যাচ খেলার জন্য ফিট না। মোহাম্মদ আমির কিংবা নাসিম শাহও ছন্দ পাচ্ছেন না। ফলে, বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তাতেই আছে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ।