নেহাত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড; প্রায় সবাই ধরে নিয়েছিল ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ হতে যাচ্ছে হয়তো। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র, আইরিশদের তাঁদের প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েই পারফরম করছেন; ব্যতিক্রম নন লরকান টাকারও। টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করার মধ্য দিয়ে আলো কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন এই ব্যাটার। সেদিন ৩৪ বলে ৫১ রান করেছিলেন তিনি, তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেই পারফরম্যান্সকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই সিরিজ জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে স্বাগতিকরা।
এদিন মাত্র ৪১ বলে ৭৩ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক। তিন নম্বরে নেমে তেরোটি চার ও একটি ছক্কার মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। অ্যান্ড্রু বালবার্নির সঙ্গে তাঁর ৮৫ রানের জুটির সুবাদেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।
নিয়মিত অধিনায়ক পল স্টার্লিং না থাকায় টস করতে এসেছিলেন টাকার। দায়িত্বের চাপ তাই বেশিই ছিল এ ম্যাচে; চাপের মুখে দাঁড়িয়েই নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। শুরু থেকেই তাঁকে আগ্রাসী মনে হয়েছিল বটে; হাসান আলীকে টানা তিন বলে এক ছয় ও দুই চার হাঁকিয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দলকে।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ডানহাতিকে; দশম ওভারেই হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন। খানিক পরে বালবার্নি আউট হলেও তাঁকে থামাতে পারেনি পাক বোলাররা। অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার পর তাঁর ব্যাট আরো ধারালো হয়ে উঠে। নিজের খেলা শেষ ১১ বল থেকে ২৩ রান আদায় করেছিলেন তিনি।
ছোট দেশের বড় তারকা বলা যায় এই ক্রিকেটারকে। তাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই জ্বলে উঠতে জানেন তিনি; দলের সবচেয়ে বিপদের সময় হয়ে উঠতে পারেন ত্রাণকর্তা। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি; এবার বিশ্বকাপেও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে তাঁকে নাকি বদল আসবে ভাগ্যে, নাকি রচিত হবে ইতিহাস – সেটাই এখন দেখার বিষয়।