গত মৌসুমেও রিয়ান পরাগ ছিলেন ট্রলের বস্তু; সমালোচনা, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ – চারপাশে তাকিয়ে এসবই দেখেছিলেন এতদিন। দিনের পর দিন তাঁকে নিয়ে হাসাহাসিতে মেতেছিল পুরো ক্রিকেটাঙ্গন। ব্যতিক্রম ছিল শুধু রাজস্থান রয়্যালস, টানা ব্যর্থতার পরেও তাঁর কাঁধে ভরসার হাত রেখেছিল তাঁরা। সেই ভরসার ভর করেই চলতি মৌসুমে জ্বলে উঠেছেন এই ব্যাটার।
এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে ১২ ইনিংস ব্যাট করেছেন তিনি; ব্যাট হাতে মোট সংগ্রহ ৫৩১ রান। চারটি ফিফটি আছে তাঁর ঝুলিতে, এছাড়া প্রতি ম্যাচেই বলতে গেলে রানের দেখা পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সংগ্রামী এক ইনিংস খেললেন এবার।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল রাজস্থান। সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তাঁরা, তবে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন এই ডানহাতি; প্রায় শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ৩৪ বলে ৪৮ রান।
সংখ্যাতত্ত্বে এমন ইনিংস অবশ্য আহামরি নয়, তবে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় মূল্যবান বটে। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে তাঁর প্রতিরোধ না থাকলে লজ্জা পেতে হতো সাঞ্জু স্যামসনের দলকে। তিনি যখন বাইশ গজে আসেন দলীয় সংগ্রহ তখন দুই উইকেটে মাত্র ৪০ রান! খানিক পরে আরো এক উইকেটের পতন ঘটলে চাপ আকাশসম হয়ে উঠে।
যদিও রবিচন্দন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে এরপর দারুণভাবে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন রিয়ান। কিন্তু অশ্বিন বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি, ফলে শেষদিকে লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গী করেই ব্যাট করতে হয়েছিল তাঁকে। শেষপর্যন্ত তাঁর সময়োপযোগী ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
অবশ্য এতে তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। টি-টোয়েন্টির আধুনিক যুগে সেট হওয়া ব্যাটার ডেথে ঝড় তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা করে টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই উদীয়মান তারকা। তবু দুর্দান্ত একটা প্রত্যাবর্তনের জন্য, টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের মিডল অর্ডার সামলানোর জন্য প্রশংসা পেতেই পারেন তিনি।