আন্দ্রে রাসেল এলে এখনও শহরে বৃষ্টি নামে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সতেরোতম ফাইনালের মঞ্চে যেন আপন মনে খেলে গেলেন এই উইন্ডিজ তারকা। বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সর্বত্র ছিল রাসেলের ছায়া।
তিনি তো বরাবরই এমন, তিনি তো কলকাতার সবচেয়ে আদরের ঘরের ছেলে। বাজে সময় দল যেমন তাঁর পাশে ছিল, তেমনি দরকারের সময়, ঠিক ফাইনালের মঞ্চে তিনি জ্বলে উঠলেন।
আইপিএলের এবারের আসরের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখী হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদের দলপতি প্যাট কামিন্স। তবে তাঁদের পরিকল্পনার ষোল আনাই ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে কলকাতার বোলিংয়ের সামনে। মাত্র ১১৩ রানের অলআউটের লজ্জায় পড়তে হয় অভিষেক শর্মা – ট্রাভিস হেডদের।
পুরো ম্যাচে ছিল কলকাতার আগ্রাসী মনোভাব। আর আগ্রাসী কথাটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কলকাতার দানব আন্দ্রে রাসেলের নাম। ফাইনালে যেনো একটু বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠলেন তিনি। তা অবশ্য হওয়ারই কথা। গুণে গুণে দশটি বছর আগে জিতেছিলেন কলকাতার হয়ে আইপিএলের শিরোপা। আর তারপর থেকে শুধুই চলেছে স্বপ্ন ক্ষুধা।
ফাইনালে বল হাতে রাসেল ছিলেন বিধ্বংসী রূপে। মাত্র ২ ওভার ৩ বল হাত ঘুরিয়ে শিকার করেন হায়দ্রাবাদের গুরুত্বপূর্ণ তিন তিনটি উইকেট। যেখানে আছে এইডেন মার্করাম, আব্দুল সামাদ আর হায়দ্রাবাদ দলপতি প্যাট কামিন্সের নাম। তিনি ৭.৬০ ইকোনমিতে খরচ করেন ১৯ রান। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন বেশ তৎপর।
কলকাতার সাথে রাসেলের সম্পর্ক একটু ভিন্ন ধরণের। কলকাতাই যেন তাঁর ঘরবাড়ি। আইপিএলে খেলেন কলকাতার হয়েই। ফর্ম খারাপ হোক কিংবা ভালো, কলকাতা তাঁকেই রিটেইন করে বারবার। রাসেল সেই আস্থার প্রতিদানটাও দিয়ে যাচ্ছেন ২০১২ সাল থেকে।
কলকাতার ভরসার প্রতীক আন্দ্রে রাসেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার নিজের উজার করে দেন কলকাতার প্রয়োজনে। তাইতো কলকাতা আগামীতেও বারবার পেতে চাইবে ক্যারিবিয়ান এই দানবকে।