‘মুন্সি’ শব্দটি বেশ পরিচিত। এই তল্লাটে সেই ইংরেজ আমলে শিক্ষার দূত তো ছিলেন তারাই। আজকেও যেন বার্বাডোসের মাঠে আবারও শিক্ষার ঝুলি খুলে দিলেন মুন্সি। তবে না এই মুন্সি সেই মুন্সি নন, ইনি হলেন স্কটল্যান্ডের ব্যাটার জর্জ মুন্সি।
বিশ্বকাপে ষষ্ঠ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সাথে টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি ব্যারিংটন। তবে টসের পরেই হানা দেয় বৃষ্টি। প্রায় ঘন্টা খানেকের অপেক্ষার পর খেলা মাঠে গড়ায়। পিচে আসেন স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটার জর্জ মুন্সি ও মাইকেল জোন্স।
প্রথম ওভারেই একটি চার হাকিয়ে নিজের অবস্থানের জানান দেন মুন্সি। এরপর দেখেশুনে খেলে রানের খাতা সচল রাখেন দুই ব্যাটার। তবে সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানে বৃষ্টি।
প্রায় দু’ঘন্টা পরে আবারও ম্যাচ শুরু হলেও ওভার কমে অর্ধেক হয়ে যায়। এরপরই যেন বোলারদের উপর চড়াও হন মুন্সি। শুরুতে যদিও খানিকটা রয়েসয়ে খেলছিলেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তিনিও মারকুটে ব্যাটিংটা শুরু করেন।
ম্যাচের অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের উপর ঝড় উঠান তিনি। তার শেষ ৪ বলে একটি ছয় ও একটি চার হাঁকান তিনি। পরের ওভারে আবারও ক্রিস জর্ডানের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারির ওপারে বল পাঠান মুন্সি।
ফলে ১০ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯০ রানে পৌঁছায় স্কটল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ। মাত্র ৩১ বলে চারটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৪১ রান করেন মুন্সি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি। বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ১০৯ রান। যদিও শেষ অবধি খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। বৃষ্টির শেষ বাঁধায় ফলাফল শূন্য থাকে ম্যাচ।
তবে জর্জ মুন্সি অন্তত একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষেও বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন। নবাগত বা স্বল্প অভিজ্ঞ দলগুলোকে হার না মানার শিক্ষাই যেন দিলেন জর্জ মুন্সি।