এ যেন এক অন্য গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২২ গজে নিয়মিত চার-ছক্কার ফুলছড়ি দেখা যেত যার ব্যাটে, সেই ম্যাক্সওয়েলই আউট হলেন এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম বলেই। সেটাও আবার ওমানের বোলার মেহরান খানের বলে।
টি-টোয়েন্টিতে বড় দল কিংবা ছোট দল বলে কিছু না থাকলেও, অভিজ্ঞতা বলে কিছু রয়েছে। তবে ম্যাক্সওয়েলের সেই অভিজ্ঞতার উপর জলই ঢেলে দিয়েছেন ওমানের বোলার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। তবে সেই টুর্নামেন্টেও মলিন ছিল ম্যাক্সওয়েলের পারফর্ম্যান্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে দেখাতে পারেননি কোনো আহামরি পারফর্ম্যান্স। এক কথায় বেশ দুঃসময়ের মাঝেই কেটেছে তাঁর এবারের আইপিএল।
আর সেই দুঃসময়ের রেশ এখনো কাটেনি তাঁর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শূণ্য রানে ২২ গজ ছাড়তে হয় অস্ট্রেলিয়ার এই অসাধারণ অলরাউন্ডারকে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ২০০ রানের অতিমানবীয় ইনিংসই হতে পারে ম্যাক্সওয়েলের শক্তির উৎস। সেই ম্যাচে পায়ের ইনজুরি নিয়েও খেলেছিলেন এক দুর্দান্ত ইনিংস। তবে সেটা ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে।
টি-টোয়েন্টিতে এসেই যেন খেই হারান এই অলরাউন্ডার। তবুও ব্যাঙ্গালুরুর একাদশে নিয়মিতই দেখা গিয়েছে তাঁকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও (সিএ) তাঁর উপর আস্থা রেখেছে, ভিড়িয়েছে বিশ্বকাপের দলে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ২২ গজে এই অলরাউন্ডারকে দেখা না গেলেও, উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামেন ম্যাক্সওয়েল। তবে সেই ম্যাচে হতাশাই করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট।
সবে তো শুরু হল এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা। নামটা যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাইতো প্রত্যাশা থাকবে, সময়ের সাথে সাথে নিজের হারানো ফর্মটাও ফিরে পাবেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা অর্জনে রাখবেন বিশেষ ভূমিকা, দেবেন আস্থার প্রতিদান।