রিশাদ হোসেন, হোয়াট আ মোমেন্টাম!

অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন। মন নয়, বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছে মনের মত একজন লেগ স্পিনার। কিন্তু, লেগ স্পিনার আপনাকে নিজের দিনে সুখ যেমন দেবে, তেমনি কোনো দিন দেবে সাদা হাতি পোষার যন্ত্রনাও।

প্রথম তিনটা ওভারে তিনি যন্ত্রনাই দিয়ে গেছেন। আক্ষরিক অর্থেই। নিউ ইয়র্কে যেখানে রান তোলাই দায়, সেখানে প্রথম তিন ওভারে তিনি হজম করেছেন ২৮ রান। কিন্তু, সব হিসাব নিকাশ বদলে যায় ম্যাচের ১৯ তম ওভারে। সেখানে তিন মাত্র চার রান হজম করেন।

এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল, মহাগুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে তিনি আউট করেন আগের ম্যাচের নায়ক ডেভিড মিলারকে। তরুণ এই লেগ স্পিনারের টপ স্পিনে হতভম্ব হয়ে মাঠ ছাড়েন মিলার। মিলার ৩৮ বলে করেন ২৯ রান। শেষ পর্যন্ত তিনি উইকেটে থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস কোথায় চলে যে পারত – সেটা না বলে দিলেও চলে।

১৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট – একজন লেগ স্পিনারের শুরু হিসেবে কোনো ভাবেই মন্দ নয়। আর বিশ্বকাপে এসে যেন ক্যারিয়ারে নতুন এক দিশাই খুঁজে পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই নেন ২২ রানে তিন উইকেট। সাথে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

রিশাদের বোলিং স্পেলেই বাংলাদেশ দল সেদিন ম্যাচে ফিরে আসে। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে, শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখা যায় সাধ্যের মধ্যে। ফলশ্রুতিতে নিশ্চিত হয় জয়।

তবে, লেগ স্পিনার খেলানোর বাস্তবতাই এমন যে – তাঁর জন্য প্রতিটা দিন সমান হবে না। একদিন উইকেট পাবেন, ব্রেক থ্রু আনবেন, একদিন বিস্তর রান গুণবেন। আবার কোনো কোনো দিন তিনি দেবেন, এমন কিছু মোমেন্টাম – যা গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। নিউ ইয়র্কে এবার সেই মোমেন্টামটাই গড়ে দিলেন রিশাদ হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link