বিশ্বমঞ্চে একের পর এক ব্যর্থতায় পাকিস্তান দল এখন বাড়ি ফেরার পথে। এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে বারবার সামনে আসছে পাকিস্তান দলের ভিতরের কোন্দলের বিষয়টি।
বিশ্বকাপের আগেই আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজগুলোতে পাকিস্তান দলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। দলের ক্রমাগত অবক্ষয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য। সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, দলের ভেতর ঐক্যের অভাব স্পষ্ট। অধিনায়কত্বের পদ, বন্ধুত্বকে শত্রুতায় পরিণত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। প্রয়োজন ছাড়া একে অন্যের সাথে তেমনভাবে যোগাযোগ করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকর্তারা দলের এই অবস্থায় বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে। বেশ কয়েকদিন আগেও বাবর আজম-শাহীন শাহ আফ্রিদির মাঝে এমন এক বন্ধুত্বের বন্ধন ছিল, যেখানে অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবাও নিষিদ্ধ ছিল। তবে, তাঁদের সম্পর্কের মোড় নেয় বাবরকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে শাহীনকে নেতৃত্ব ভার তুলে দেয়ার পর।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, যখন লক্ষ্য করা যায় দলের বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় একই গ্রুপে আবদ্ধ। তাই তাঁদের নিয়ে কোনো সমালোচনা উদয় হলে, সেই গোষ্ঠী থেকে একত্রে ট্রল করা হয় সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে। যা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।
শাহীনকে মাত্র এক সিরিজের জন্য নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ দিয়ে আবারও বাবরকে অধিনায়ক করা হলে, দলের ভেতরের অবস্থা আরও জটিল হতে থাকে। কেননা, অবসর ফেরত মোহাম্মদ আমির এবং ইমাদ ওয়াসিমের মধ্যে কারও সাথেই বাবরের সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। অন্যদিকে, শাদাব খান এবং ইফতেখার আহমেদ খারাপ পারফর্ম্যান্সের সত্ত্বেও দলে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন।
দলের এমন অস্থিরতা বিশ্বকাপের আগেই টের পেয়েছিল পিসিবি । তবে এই মেগা ইভেন্ট তখন দুয়ারে ছিল,তাই বিশ্ব প্রতিযোগিতার কথা ভেবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাছাড়া বোর্ড কর্মকর্তাদের মাঝেও পক্ষপাতিত্বের সুর লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তবে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ইতোমধ্যেই একটি স্বচ্ছ অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেখানে লক্ষ্য করা যাবে চমকপ্রদ বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের। তবে তা বিশ্বকাপ চলমান অবস্থায় নয়, বরং এই মেগা ইভেন্ট শেষে এসব সম্ভাব্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে পিসিবি।