দুই বাহু উঁচু করে উদযাপন করলেন গুলবাদিন নাইব। কেননা ছক্কা হাকিয়ে তিনিই তো শেষ করেছেন ম্যাচ। সেই সাথে নিশ্চিত করেছেন সুপার এইটে দলের জায়গা। এমন শক্তিশালী ভঙ্গিমায় উদযাপন করা তো তাকেই মানায়। তাছাড়া একটা সংশয়ের জবাব হয়েও এদিন সামনে এলেন গুলবাদিন নাইব।
বিশ্বকাপে এখন অবধি তিন ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে রশিদ খানের দল। প্রথম দুই ম্যাচে দলের ব্যাটিংটা সামলেছেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দুই ম্যাচেই ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পেয়েছে আফগানরা।
সেটাই বরং ভীত গড়ে দিয়েছিল বড় সংগ্রহ কিংবা জয়ের। আফগানরা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। সে ম্যাচে দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার গুরবাজ ও জাদরান। তাতে করে শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যাওয়ার। কেননা এখন অবধি এবারের বিশ্বকাপে যে আফগানিস্তানের মিডল অর্ডারকে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি।
এদিন পরীক্ষায় অবশ্য উৎরে গেছে আফগান মিডল অর্ডার। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ গুলবাদিন নাইব। দুই ওপেনারে বিদায়ের পর একটু সংকুচিত হয় আফগানদের আগ্রাসন। কিন্তু নাইবের ব্যাটে রান এসেছে নিয়ম করে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সাথে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ওমরজাইয়ের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নবী এসে সঙ্গ দেন নাইবকে।
সেই জুটিতে ভর করেই আফগানিস্তান চলে যায় সুপার এইটে। ৪৬ রানের যুগলবন্দীতে ভাঙন ধরাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাপুয়া নিউ গিনি। শেষ অবধি ৪৯ রানে অপরাজিত থেকেছেন গুনবাদিন নাইব। একটি রান হলেই পেয়ে যেতে পারতেন অর্ধশতকের দেখা। সেই আক্ষেপ নিশ্চয়ই থাকবে তার।
তবে সেই আক্ষেপ ছাপিয়ে তিনি বরং একটু স্বস্তি ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন আফগানদের শিবিরে। টিম ম্যানেজমেন্টও খানিকটা সন্দিহান ছিল সম্ভবত দলটির মিডল অর্ডার নিয়ে। নাইব ও নবীদের কার্যকর সব ইনিংসের কল্যাণে উবে গেছে দুশ্চিন্তা। সুপার এইটে সকলকে চমকে দেওয়া জন্যে প্রস্তুত আফগানরা।