আবারও লজ্জার সম্মুখীন উগান্ডা

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল উগান্ডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৩৯ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সব থেকে কম রানে শেষ হওয়া ইনিংসগুলোর মধ্যে একটি। নেদারল্যান্ডসের সাথে সেই রেকর্ডে ভাগ বসায় উগান্ডা দল।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও সেই লজ্জার সম্মুখীন উগান্ডা ক্রিকেট দল। এবার সর্বনিম্ন রানের তালিকায় তাদের স্থান হয়েছে তিন নম্বরে। মাত্র ৪০ রানেই উগান্ডার ইনিংস গুড়িয়ে দেন কিউই বোলররা। ফলে বিশ্বকাপের একই আসরে দুইবার ৫০ রানের নিচে অল আউট হলো উগান্ডা।

ইনিংসের শুরুতেই উগান্ডা শিবিরে আঘাত হানে কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। চলতি আসরে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা বোল্ট উইকেট পান তিন নাম্বার বলেই। উগান্ডা ব্যাটার সিমন সেসাযিকে লেগ বিফোরের ফাদে ফেলেন তিনি। পরের বলেই আবারও উইকেট নেন বোল্ট। এবার তাঁর শিকার রবিনসন ওবুয়া। গুড লেন্থের সুইং করা সেই বল বুঝে উঠতে পারেনি সেই ব্যাটার। ফলে ব্যাট মিস করে উইকেটে আঘাত হানে বলটি।


উইকেট পড়ার সাথে সাথে রান নিতেও ব্যার্থ হয় উগান্ডার ব্যাটাররা। চতুর্থ ওভারে উগান্ডার তৃতীয় উইকেট শিকার করে বোল্ট এর সতীর্থ টিম সাউদি। নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং দুই বোলারকে খেলতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল উগান্ডার ব্যাটারদের। পাওয়ার প্লের শেষে মাত্র ৯ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন পাওয়ার প্লে স্কোর।

ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডা দল। ২৭ রানে ৭ উইকেট যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল তাদের সর্বনিম্ন রানের স্কোর আবারও ভেঙে ফেলবে তারা। তবে ফ্রেড অ্যাকেলামের কল্যাণে তা এড়িয়ে যায় উগান্ডা।

তবে ১৮তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে আবারও সেই সম্ভাবনার সৃষ্টি করে সাউদি। তবে সেই ওভারের শেষ বলে রান নিয়ে ৪০ রানের কোঠায় পৌছায় উগান্ডার ইনিংস। তবে পরের ওভারেই স্যান্টনার উইকেট নিলে ৪০ রানেই শেষ উগান্ডার ব্যাটিং যাত্রা।


তিনটি করে জয় নিয়ে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার এইটে তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। ফলে ম্যাচটি জিতলেও পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা নেই নিউজিল্যান্ডের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link