শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ছিলেন ছায়া হয়ে, দুই ম্যাচেই অন্যতম ফ্লপ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছিল, বাদ যাননি বীরেন্দর শেবাগও। ব্যঙ্গাত্মক সুরেই টাইগার অলরাউন্ডারকে কটু কথা শোনান তিনি; কিন্তু তাঁর কথার ধরণ পছন্দ হয়নি কারোই, এমনকি নিজের দেশের সমর্থকেরাও ক্ষুব্ধ হয়েছে এতে।
আনরিখ নর্কিয়ার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে উইকেট দিয়ে এসেছিলেন সাকিব। সেদিন ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় শেবাগ বলেন, ‘তুমি (সাকিব) হেইডেন বা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নও যে শর্ট বলে পুল শট খেলে দেবে। তুমি বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার। তাই নিজের মান অনুযায়ী খেলো।’
আবার অবসর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের সময়ই আমি ভেবেছিলাম ওর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সময় ফুরিয়ে এসেছে। পরিসংখ্যানও তেমন আহামরি নয়। তারপরও সে অবসর নিচ্ছে না, খেলেই যাচ্ছে।’
এমন মন্তব্য দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র, আর সেটা নিয়ে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি আলোচনা-সমালোচনা। আগুনে ঘি ঢালতেই নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি, সেই সাথে জেতেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার।
এর ফলে ভারতীয় কিংবদন্তির উপর দেশটির সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ক্ষোভ আরো বেড়েছে। কেউ বলছেন তিনি নিজে সম্মান পাননি তাই আরেকজন ক্রিকেটারকে সম্মান দিতে জানেন না। আবার কেউ কেউ শর্ট বলে সাকিবের পরিসংখ্যান তুলে ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছেন সাকিবকে। এছাড়া ট্রোল পোস্টের মাধ্যমেও সাবেক এই ওপেনারকে নিয়ে মজা নেয়া হয়েছে।
এর আগে ইমরুল কায়েস সরাসরি সমর্থন করেছিলেন সাকিব আল হাসানকে। এই বাঁ-হাতি বলেছিলেন যে শেবাগ ক্যারিয়ার জুড়ে কখনোই সম্মান পায়নি তাই সে অন্যকে সম্মানও করতে জানে না। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ডাচদের বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স-ই শেবাগকে সবচেয়ে বড় লজ্জা দিয়েছে।