যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাথে হারের পর অনেকটা অনুমেয় ছিল যে পাকিস্তান পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে ব্যার্থ হবে। আর যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন জলে ভেসে যায় পাকিস্তানের।
প্রথম ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে হারে পাকিস্তান। পরবর্তী ম্যাচে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরেও ব্যাটিং ব্যার্থতার দিনে ভারতের বিপক্ষে ১২০ রানের লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি পাকিস্তান। এমন ব্যাটিং ব্যার্থাতার অনেকটা দায় যায় ২৩ বলে ১৫ রান করা ব্যাটার ইমাদ ওয়াসিমের উপর।
সেই কথাই স্বীকার করলেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। তিনি মনে করেন যে নিউইয়র্কের কঠিন পিচে তিনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার ভয় দূর করতে তিনি পাকিস্তানের সবার মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীতার উপর জোর দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার মতে আমাদের পরাজয়ের কারণ ছিল আমাদের মানসিকতা। আমাদের মন থেকে ব্যর্থতার ভয় বের করে নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। এটা সবার মানসিকতার বিষয়। অন্যান্য দলও তাঁদের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করেছে। আমরা তাঁদের পিছিয়ে আছি কারণ আমরা আমাদের চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন করিনি।’
ইমাদ মনে করেন বিশ্ব মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কথা বলার জায়গা না। তবে আমি মনে করি এখানে পরিবর্তন হওয়া দরকার। একটি কঠোর পরিবর্তন হওয়া উচিত যেন আমরা এগিয়ে যেতে পারি। বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে খেলা হয় তার সাথে লড়াই করতে পারি।’
পাকিস্তানের বিদায়ে আবহাওয়ার প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন ইমাদ। তবে তিনি মনে করেন প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের জয় পাওয়া উচিত ছিল।
ইমাদ বলেন, ‘আপনি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। গত সপ্তাহে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং আমি আমার জীবনে এমন বৃষ্টি দেখিনি। তাই আপনি স্টেডিয়ামের মাঠ কর্মী ও আইসিসিকে দোষ দিতে পারেন না। এটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। তবে আমাদের উচিত ছিল দুইটি ম্যাচ জিতে নিরাপদ অবস্থানে থাকা। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তা ঘটেনি।’