উনিশ শতকের শুরুর দিকে অস্ট্রিয়া হুট করেই পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসে। সেই যুদ্ধের রেশ কাটার আগেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আবারো শত্রু হিসেবে দেখা হয় তাঁদের – ঐতিহাসিক দুই প্রতিপক্ষ এবার মুখোমুখি হয়েছে, তবে যুদ্ধের ময়দানে নয় বরং ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায়। আর চামড়ার বলের খেলায় জয়টা জুটেছে অস্ট্রিয়ার ভাগ্যে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুই দলই হেরেছিল, তাই দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্টের জন্য মরিয়া হয়ে ছিল তাঁরা। তাই নব্বই মিনিট জুড়ে লড়াই হয়েছে সমানে সমানে, শেষমেশ যদিও ৩-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে সাবিতজারের বাহিনী।
ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল তাঁরা, রয়েসয়ে খেলতে থাকা পোলিশদের বুকে ছুরি বসিয়ে দিয়েছিলেন গার্নট ট্রনার। এরপরই নড়েচড়ে বসে পোল্যান্ড, একের পর এক সুযোগ তৈরি করে দলটি। ত্রিশ মিনিটের মাথায় আসে কাঙ্ক্ষিত সেই মুহুর্ত, দারুণ ফিনিশিংয়ে খেলায় সমতা আনেন পিয়াটেক।
পরের অনেকটা সময় মাঠে স্থিতি বজায় ছিল, কেউ অতিরিক্ত আগ্রাসী হয়ে খেলেনি, আবার অতিরক্ষণশীলও হয়নি। কিন্তু ক্রিস্টোফ বাউমগার্টনারের এমনটা পছন্দ হয়নি, প্রায় একক প্রচেষ্টায় পোলিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। বলে পা না ছুঁইয়ে-ই ডিফেন্ডারদের বোকা বানানোর সুবাদে এই গোলে অবদান রেখেছিলেন স্ট্রাইকার আরনৌতোভিচ।
কিন্তু জয় নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিজেই এরপর গোল করেছেন স্পট কিক থেকে। জুভেন্টাস তারকা সেজনির ভুল থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়াতে কোন ভুল হয়নি তাঁর। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি রবার্ট লেওয়ানডস্কিরা, তবে অন্তিমক্ষণ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন ঠিকই।
ফিফা র্যাংকিংয়ে পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার অবস্থান একেবারে কাছাকাছি, মাঠের খেলায়ও শক্তিমত্তার সমতা ফুটে উঠেছিল। তবে দিন শেষ স্কোরলাইনটাই আসল, আর সেখানে এগিয়ে থেকে ইউরোতে নিজেদের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো অস্ট্রিয়া। অন্যদিকে পোল্যান্ডের বাদ পড়া নিশ্চিত এখন।