দুঃসময়ের একটা বিশ্বকাপ আসর কাটাচ্ছেন বিরাট কোহলি। সবশেষ আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন অথচ মাসখানেকের ব্যবধানে রান করাই ভুলে গিয়েছেন তিনি। সাত ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি একবারও, তাঁকে ওপেনিংয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত কতটা ভুল সেটাই প্রতি ম্যাচে প্রমাণ করে যাচ্ছেন।
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির ব্যাটিং গড় ছিল ১০৬.৩৩, ২০১৬ সালে সেটা বেড়ে হয়েছিল ১৩৬.৫০! গত আসরেও একশ ছুঁই ছুঁই গড়ে রান করেছেন তিনি। অথচ চলতি টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিং গড় স্রেফ ১০.৭১! এ যেন স্বর্গ থেকে সরাসরি মাটিতে ভূপাতিত হওয়ার মতই।
ওপেনিংয়ে খেলার কারণেই কি এই তারকার এমন অধপতন – বিতর্ক হতেই পারে এটা নিয়ে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরো দু’জন ওপেনার আছেন যারা নির্দিষ্ট এক আসরে ব্যাটিং গড়ের হিসেবে তাঁর পিছনে আছেন।
উদ্বোধনী ব্যাটারদের মধ্যে এক আসরে সর্বনিন্ম গড়ের রেকর্ড দখলে রেখেছেন সৌম্য সরকার। ২০১৬ সালের ভারত বিশ্বকাপে ওপেনিং করেছিলেন তিনি, এসময় মাত্র ৯.৬০ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন। তাঁর পরেই আছেন জিম্বাবুয়ের ওয়েসলে মাধেভেরে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল কেবল ৯.৮০।
অবশ্য ওপেনারদের লজ্জার এই তালিকায় সৌম্যই একমাত্র বাংলাদেশি নন, পাঁচজনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে আছেন আরো দুইজন। কাকতালীয়ভাবে দু’জনই তামিম। ২০০৭ সালে তামিম ইকবাল নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১১.২০ গড়ে রান করেছিলেন।
১৭ বছর পর তানজিদ তামিম সুযোগ পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজের অভিষেক বিশ্বকাপ খেলার। সিনিয়র তামিমের মতই অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর, আসর শেষ করেছেন মাত্র ১০.৮৫ গড় নিয়ে। এত লম্বা সময় পরেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার আগের মতই ভঙ্গুর রয়ে গিয়েছে সেটিই প্রমাণ করে এসব পরিসংখ্যান।