প্রত্যাশার পারদ ছুঁতে ব্যর্থ শরিফুল

বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার ভাবা হয় শরিফুল ইসলামকে। তাই বিশ্বকাপে শুরুর একাদশে থাকবেন এমন প্রত্যাশা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে চোটের কারণে দলের প্রথম কিছু ম্যাচ মিস করেন শরিফুল। আর তাঁর বদলি হিসেবে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর বিশ্বকাপে শুরুর একাদশে ফেরা হয়নি তাঁর।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে ড্রাফটে দল না পেলেও এবার ভাগ্য খুলেছে তাঁর। পাকিস্তানি মোহাম্মদ আলির ইঞ্জুরির সুবাদে বদলি হিসেবে শরিফুলকে দলে ভিড়িয়েছেন ক্যান্ডি ফ্যালকনস।

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম ম্যাচে কলম্বো স্ট্রাইকারসের বিরুদ্ধে ফ্যালকনসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন শরিফুল। তবে শুরুটা মোটেই আশানুরূপ করতে পারেননি বাংলাদেশি এই পেসার। দীর্ঘদিন মাঠের বাহিরে থাকা শরিফুলকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে প্রথম ওভারেই তাঁকে ছক্কা  হাকিয়ে স্বাগত জানান অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।

পাওয়ার প্লেতে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসলে আবারও তাঁকে প্রথম বলেই ছক্কা হাকান পেরেরা। যদিও সেই ওভারেই দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরুবাজকে সাজঘরে পাঠান তিনি। ইনিংসে তিন ছক্কা হাকানো গুরুবাজ বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে মেন্ডিসের তালুবন্দি হন ।

ইনিংসের শেষের দিকে নিজের বাকি ২ ওভারে একটি ছক্কা খেলেও বাকি বলগুলোতে ব্যাটারকে বাউন্ডারি হাকাতে দেননি শরিফুল। ছক্কা হাকানোর পরের বলেই চামিকা কারুনারত্নেকে সাজঘরেও পাঠান শরিফুল।

ফলে ৪৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে নিজের চার ওভারের স্পেল শেষ করেন শরিফুল। তবে বিদেশি বোলার হিসেবে তাঁর থেকে হয়তো আরও বেশি আশা করেছিলেন ক্যান্ডি ফ্যালকনস সমর্থকরা।

এর আগে ৩ জুলাই লঙ্কান প্রিমিয়ার লীগ খেলতে দেশ ছাড়েন শরিফুল। যাওয়ার আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিমানে উঠার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘ এলপিএলে যাচ্ছি, চেষ্টা করব যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। অনেকদিন থেকে হয়তো ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। তাই এখানে ম্যাচ খেলে যেন আগের মতো কামব্যাক করতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link