রান বন্যার ইনিংসে প্রায় ভেসে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান, নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। জাফনা কিংসের বিপক্ষে বেশ খরুচে ছিল তিনি। দলের স্ট্রাইক বোলার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করলেও রান আটকানোর কাজটা করা হলো না তাঁর।
টি-টোয়েন্টিতে এই পেসার বরাবরই সেরাদের একজন। বিশেষ করে উইকেট অনুকূলে থাকলে তিনি রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেন। চলতি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও সেটার প্রমাণ দিতে পারতেন কিন্তু, কিন্তু পরপর তিন ম্যাচ খেলেও আহামরি পারফরম পাওয়া গেলো না তাঁর কাছ থেকে।
জাফনা বিপক্ষে এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৯ রান খরচ করেছেন এই বাঁ-হাতি; বিনিময়ে উইকেট শিকার করেছন দুইটি। বরাবরের মতই পাওয়ার প্লে আর ডেথের মত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে বোলিং করেছেন তিনি; কিন্তু চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে।
এদিন প্রথম ওভারেই সাফল্যের সন্ধান পান দ্য ফিজ। বিধ্বংসী হয়ে উঠা কুশল মেন্ডিসকে মার্ক চ্যাপম্যানের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে একটা ছয় হজম করতে হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু চার চারটি ডল বল আদায় করে নিয়ে সেটা আবার পুষিয়েও দিয়েছেন বটে। সবমিলিয়ে প্রথম দুই ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন এই তারকা।
কিন্তু শেষদিকে এসে পুরোপুরি ছন্দহীন হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ষোলতম ওভারে তিন ডট দেয়া সত্ত্বেও বারো রান আদায় করে নিয়েছেন আভিস্কা ফার্নান্দো। পরের ওভারেও একই দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে। এক উইকেট পেলেও পুনরায় বারো রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। অর্থাৎ ডেথে তাঁর দুই ওভার থেকে ২৪ রান আসে যা মোটেই প্রত্যাশিত নয়।
গত আইপিএলে দারুণ বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়েছেন টাইগার তারকা, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সেই ধারাবাহিকতা ছিল। কিন্তু সুপার এইটে ভাল করতে পারেননি তিনি, এখন এলপিএলে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।