বিজয়ের পাতাকা হাতে উড়ছেন জয়সওয়াল

বিশ্বকাপে স্পেশালিষ্ট ওপেনার হিসেবেই সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু একাদশে জায়গা পাননি একবারও। তবে যশস্বী জয়সওয়াল জানতেন তিনি কি করতে পারেন, তাঁর সামর্থ্য কতটুকু – তাই তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেই আরো একবার প্রমাণ করেছেন নিজেকে, আরো একবার মুগ্ধ করেছেন সমর্থকদের।

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এই ব্যাটার মাত্র ৫৩ ল খেলে করেছেন ৯৩ রান, তেরোটি চারের পাশাপাশি দুই ছয়ের সাহায্যে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৮। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের কল্যাণে জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেয়া ১৫৩ রানের টার্গেট ২৮ বল হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

জিম্বাবুয়ে সিরিজেও অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামেননি এই বাঁ-হাতি। তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই শুরু থেকে আগ্রাসী ছিলেন তিনি, যদিও সেই যাত্রায় ইনিংস বড় করা হয়নি। তবে পরের ম্যাচে ঠিকই তাঁর অতৃপ্তি হৃদয় পূর্ণতা পেয়েছে।

এদিনও প্রথম থেকে বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন জয়সওয়াল। রিচার্ড এনগারাভাকে টানা তিন চার হাঁকিয়ে শুরু, এরপর চাতারার ওভারে মেরেছেন চারটি চার! হাফসেঞ্চুরির জন্য তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, ২৯ বলেই ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তাতেও অবশ্য তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের তীব্রতা কমেনি।

বরং আরো বেশি আগ্রাসী হয়েছেন এই ওপেনার, একের পর এক বাউন্ডারি তুলে নিয়ে লক্ষ্যকে হাতের নাগালে নিয়ে এসেছেন। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে শেষ ২৪ বল থেকেই ৪৩ রান করেছিলেন, সেট হলে তিনি কতটা ভয়ানক হতে পারেন সেটারই প্রদর্শনী দেখা গেলো।

বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা একইসাথে সরে দাঁড়িয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাই ভারতীয় টপ অর্ডার সামলানোর দায়িত্ব তাই এই তারকার ওপরেই পড়েছে। দায়িত্ব সামলানোর জন্য তিনি যে প্রস্তুত সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, এখন স্রেফ নিজেকে প্রতিনিয়ত শাণিত করার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link