এক সময় ফুটবল মাঠের প্রাণকেন্দ্র ছিল দলের নম্বর টেন পজিশন । যা মর্ডান ফুটবলের যুগে প্রায় হারিয়ে বসতে ধরেছে। তবে কলম্বিয়ান কোচ নেস্তর লরেঞ্জের হাত ধরে আবারও পুনর্জন্ম নিল ক্ল্যাসিক নম্বর টেনের, হামেস রদ্রিগেজ দিলেন তাঁর পূর্ণরূপ। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছেন এই কলম্বিয়ান। মনে করে দিয়েছেন তাঁর ২০১৪ বিশ্বকাপের কথা। জিতেছেন ২০২৪ কোপা আমেরিকার গোল্ডেন বল।
একজন যথাযথ নম্বর টেনের কথা আসলেই প্রথমেই সবার মনে পড়বে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার কথা। তাঁর শৈল্পিক ফুটবলের জন্য বিশ্বব্যাপী নাম কুড়িয়েছেন সাবেক এই আর্জেন্টাইন। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়েছে ক্ল্যাসিক নম্বর টেন পজিশন। বর্তমান যুগের কৌশলগত ফুটবলের দুনিয়ার কোচদের ফর্মেশনে সঠিকভাবে বসে না একজন নম্বর টেন।
তবে অতীতে দলের শৈল্পিক ফুটবলের অন্যতম কারিগর ছিলেন নম্বর টেন পজিশনে খেলা খেলোয়াড়রা। ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে জিনেদিন জিদান কিংবা রিকার্দো কাকা, সবাই এই পজিশনে খেলেই বিশ্বব্যাপীর কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সাধারণত একজন নম্বর টেন পজিশনে খেলা খেলোয়াড়ের মূল ভুমিকা থাকে মিডফিল্ড ও এ্যাটাকে খেলার সংযোগ করা। যা ২০২৪ কোপা আমেরিকায় দারুণভাবে করেছেন রদ্রিগেজ। দলের প্লেমেকিং ভূমিকায় খেলে থাকেন তিনি।
সাধারণত ফরোয়ার্ড লাইনের নিচেই অবস্থান করে মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে এ্যাটাকে মনোযোগ দিতে হয় নম্বর টেনকে। পজিশনটিতে সাধারণত দলের সেরা ক্রিয়েটিভ খেলোয়াড় খেলে থাকেন।
তবে মর্ডান ফুটবলে ম্যানেজারদের পছন্দের ফর্মেশনের একটি ৪-৩-৩। যে ফর্মেশনে জায়গা হয় না একজন যথাযথ নম্বর টেনের। কারণ দলের মিডফিল্ডারদেরও সাহায্য করতে হয় ডিফেন্সে। আর বর্তমান ফুটবলে কোচদের মূল ভরসা থাকে উইঙ্গার এবং ফুলব্যাকদের উপর। তাঁদের উপর ভর করেই কৌশল সাজান ম্যানেজাররা।
তবে সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকায় নেস্তর লরেঞ্জের কল্যাণে আবারও সেই ক্ল্যাসিক নম্বর টেনের দেখা পেলো ফুটবল বিশ্ব। ফাইনালে রদ্রিগেজের পর তাঁর বদলি হিসেবে নামেন আরেক নম্বর টেন জন ফার্নান্দ কুইন্তের।
তাঁর কয়েকটি ড্রিবলিং যেন ক্ষণিকের জন্য বেসামাল করে দিয়েছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ বিভাগ। তবে বর্তমানের ট্যাকটিক্যাল ফুটবল দুনিয়ায় আবারও নম্বর টেনের লিগ্যাসি ফিরে আসে কি না তা দেখতে মুখিয়ে থাকবেন ফুটবল ভক্তরা।