প্রিন্স অব ইন্ডিয়ান ক্রিকেট, বলতেই যেন ভেসে ওঠে একটা সুদর্শন তরুণের চেহারা, তিনি শুভমান গিল। যাকে নিয়ে আশার বিস্তৃত সঞ্চার ঘটেছিল বেশ ক’দিন আগেও। তবে সময়ের দাবীতে শহরে এলো নতুন প্রিন্সের আগমন। ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের ধার বাড়িয়ে যশ্বসী জয়সওয়াল নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন সেই উচ্চতায়।
জয়সওয়াল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই এই বাঁ-হাতি ব্যাটার বেশ উজ্জ্বল। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে খেলেন ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাট।
আবার টি-টোয়েন্টিতেও খেলেন আক্রমণাত্মকভাবে। যদিও ওয়ানডে এখনো দেশের জার্সি গায়ে চাপানো হয়ে ওঠেনি তাঁর। তবে সুযোগ পেলেই রোহিত শর্মা কিংবা বিরাট কোহলিদের যোগ্য উত্তরসূরি বনে যাবেন এই বাঁ-হাতি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেই সবার নজরে ছিলেন শুভমান গিল। তারপর একে একে জাতীয় দলের হয়ে সব ফরম্যাটেই প্রমাণ করেছেন নিজেকে। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও দিয়েছেন ভারতের নেতৃত্ব। তবে এত কিছুর পরেও যেন প্রশ্ন রয়ে যায় গিলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে। আদৌ কি তিনি প্রিন্স তকমার সম্মান বজায় রাখতে পেরেছেন?
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর উল্লেখযোগ্য পারফর্ম্যান্স বলতে তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের গুটি কয়েক ইনিংস। তারপর থেকেই যেন অধঃপতনের সুরে খেলে গিয়েছেন গিল। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ঠিকই দিয়েছেন সমালোচকদের জবাব। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একটি ডাবল-সেঞ্চুরি, তাছাড়া প্রতি ম্যাচে গড়ও ৬০ এর উপরে।
আবার টি-টোয়েন্টিতে অন্যান্য ওপেনার থেকে কিছুটা পিছিয়েই আছেন ভারতের এই তরুণ। স্ট্রাইক রেটের হিসেবে তিনি ট্রাভিস হেড কিংবা জেইক ফ্রেজার ম্যাকগার্কদের থেকে এখনও পিছনে।
গিল-জয়সওয়াল দুই তরুণই ভারতের ক্রিকেটের ভবিষ্যত। যদিও কিং-প্রিন্স তকমাগুলো সমর্থকদেরই তৈরি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সই জানান দিচ্ছে, ‘প্রিন্স অব ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে’র তকমার জন্য জয়সওয়ালই যোগ্য দাবীদার।