Social Media

Light
Dark

অশ্রুসিক্ত নয়নে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি

আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিকেট জগতের অতি পরিচিত এক নাম। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি। মিস্টার ৩৬০ নামে খ্যাত এই খেলোয়াড় ক্রিকেট মাঠে এমন কিছু নেই যা তিনি করতে পারেন না। দুর্দান্ত ব্যাটিং থেকে শুরু করে ফিল্ডিং, কিপিং সাথে বোলিং, সব কিছুই তিনি করে দেখিয়েছেন। তবে চোকার শব্দটি থেকে নিজেকে ও দলকে বের করতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স।

২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে দ্রুততম শতক হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে প্রবেশ করেন ডি ভিলিয়ার্স। সম্ভবত সেই বিশ্বকাপের সব থেকে শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সতীর্থ হিসেবে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গী ছিলেন হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস, ডেভিড মিলার, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেলের মতো তারকারা।

তবে এত তারকার মধ্যেও ডি ভিলিয়ার্সই ছিলেন দলের প্রাণ ভ্রমরা ৷ দলের অধিনায়কের ভূমিকাতেও ছিলেন তিনিই ৷ একজন অন্যতম সেরা ব্যাটারের পাশাপাশি তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা একজন ফিল্ডার। তবে এই বিশ্বকাপে তিনি বোলার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।

পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে ১৪ ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। ফিল্ডিংয়ে বরাবরই নিজেকে উজাড় করে দেন তিনি৷ এই বিশ্বকাপও তার ব্যাতিক্রম ছিল না।

আর ব্যাট হাতে সবসময়ই বিধ্বংসী ডি ভিলিয়ার্স ৷ বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্রুত শতকের পর বিশ্বকাপে আবারও উইন্ডিজদের বিপক্ষে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন তিনি ৷ হাঁকিয়েছিলেন দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড। সেদিন মাত্র ৬৬ বলে ১৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

দুর্দান্ত খেলে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে আবারও ভাগ্যের সেই নির্মম পরিহাস, বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় তাঁদের। ৪৫ বলে ৬৫ রানের একটি ইনিংস খেলে তিনি চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে গ্রান্ট এলিয়টের ইনিংসের কল্যাণে চোখে অশ্রু নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ভিলিয়ার্স ও তাঁর সতীর্থদের৷

বৃথা যায় সেই বিশ্বকাপে তাঁর ৯৬ গড় এবং ১৪৪ স্ট্রাইক রেটের সাথে করা ৪৮২ রান। ক্রিকেটে ডি ভিলিয়ার্স গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। জয় করেছেন অগণিত দর্শকের মন। তবে শিরোপাটি যে সব সময় অধরাই রয়ে গেছে তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link