আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে রোহিতের অবসরের পর এটি অনুমেয় ছিল যে ভারতের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হবেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিতের অনুপস্থিতিতে ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে বেশ কার্যকর ছিলেন তিনি। তবে সবাইকে চমক দেখিয়ে সুরিয়াকুমার যাদবকে অধিনায়ক করেছে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া(বিসিসিআই)। অনুমান করা হচ্ছে এখানে ভারতের নতুন কোচ গৌতম গম্ভীরের ভূমিকা রয়েছে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এমনকি অধিনায়ক হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথম মৌসুমেই গুজরাট টাইটান্সকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন তিনি। তবে নিয়মিত বিরতিতে চোটে আক্রান্ত হওয়া হার্দিককে বিসিসিআই নেতৃত্বের প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন না। এর প্রমাণস্বরূপ সহ-অধিনায়ক হিসেবেও তাঁকে বিচার করেনি বিসিসিআই।
মূলত ড্রেসিংরুমের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে সুরিয়াকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচকরা। এছাড়াও ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে চমৎকার স্মৃতি আছে তাঁর। গত বছর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দলকে ৪-১ ব্যাবধানে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুরিয়া।
ভারতের সাবেক স্পিনার প্রজ্ঞান ওঁঝা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। ভারতের নতুন কোচ গৌতম গাম্ভীর এবং সুরিয়ার একটি পুরনো সংযোগের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। ১০ বছর আগে যখন গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতান, তখন সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলে ছিলেন সুরিয়া।
এই সম্পর্কে ওঁঝা বলেন, ‘ও খুব বুদ্ধিমান। গৌতম গাম্ভীরের সাথে তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব রয়েছে। তাঁরা একসাথে খেলেছে। এবং আপনার যদি মনে থাকে, গৌতি ভাই যখন কেকেআরের অধিনায়ক ছিলেন তখন সুরিয়া সহ-অধিনায়ক ছিল। তাই সেই বোঝাপড়া এবং বিশ্বাসের স্তর সবসময়ই থাকে। তাঁরা হয়তো হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে সংশয়ে ছিল। তাই পরবর্তী সেরা ব্যাক্তি ছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব।’
ভারতের অধিনায়ক নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে নির্বাচকরা এটা ভেবেছিলেন। তবে আপনি যদি ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভাবেন, তবে সুরিয়াকুমারের যাদবের চেয়ে কে ভাল? এটি হার্দিক হতো, কারণ বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে আমরা এটিই আশা করেছিলাম। তবে ফিটনেসের জন্য তাঁকে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে আমি মনে করি সুরিয়া একটি দুর্দান্ত পছন্দ।’