হাঁটতে পারছেন না বিনোদ কাম্বলি

ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের ছোটবেলার বন্ধু, শচীনের চেয়ে বেশি প্রতিভা আর সম্ভাবনা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় পা রাখা বিনোদ কাম্বলির কথা কে না জানে। তবে যেটা জানা যায়নি সেটা হলো তাঁর বর্তমান অবস্থা; কালচক্রে হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি কেমন আছেন, কোথায় আছেন সেসব নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তেমন কারোই ছিল না।

সম্প্রতি অবশ্য একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সাবেক এই ক্রিকেটারের, আর সেটা স্বস্তি ফেরানোর বদলে উল্টো বাড়িয়েছে উদ্বেগ। সেই ভিডিওতে তাঁকে অন্যদের সহায়তা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। এছাড়া তাঁকে কিছুটা ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছিলো।

স্বাভাবিকভাবেই তাঁর শারিরীক অবস্থা নিয়ে এরপর থেকে শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই অবশ্য মনে করছেন হয়তো নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য সেবনের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকে গুরুতর অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে দেখছেন। তবে কারণ যাই হোক, প্রায় প্রত্যেকেই কাম্বলির শারিরীক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। এবং একই সাথে তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

এই বাঁ-হাতি ওপেনার নিজের সময়ে ছিলেন বিধ্বংসী একজন, নব্বইয়ের দশকে তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছে অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী। ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়ানোর পর জাতীয় দলের হয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জোড়া সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ড বধের নায়ক বনে গিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপরের গল্পগুলো স্রেফ হতাশায় মোড়ানো; আকাশসম প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্তির গ্রাফ ক্রমাগত নিম্নমুখী ছিল। চোট আর শৃঙ্খলা-বিহীন জীবনের কারণে প্রচণ্ড প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও মাঠে সেটার পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।

তবু বিনোদ কাম্বলিকে ভারতীয়রা মনে রাখবে; তাঁর স্মরণীয় সব ইনিংস আর ভারতীয় ক্রিকেটে অবদানের জন্য তাঁকে সব সময়ই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখবে সবাই। যদিও সেই সম্মানের সাথে খানিকটা আক্ষেপও মিশে থাকবে নিশ্চয়ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link