২০২২ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন আর্লিং হাল্যান্ড। অভিষেক মৌসুমেই ৩৬ গোল করে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট, পরের মৌসুমে নয় গোল কম করলেও গোল্ডেন বুট হাতছাড়া হয়নি তাঁর। তাই তো ২০২৪/২৫ মৌসুমের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন জেগেছে এবার কি তবে গোল্ডেন বুটের হ্যাটট্রিক করবেন তিনি?
ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা, নিশ্চিত সমীকরণও পাল্টে যেতে পারে যেকোনো সময়। সেজন্যই ভবিষ্যদ্বাণী দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে পুরনো পরিসংখ্যান আর কাগজ-কলমের হিসেবে আলোচিত প্রশ্নের উত্তরটা ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মোহাম্মদ সালাহ, কোল পামার, অ্যালেক্সান্ডার ইশাক কিংবা অলি ওয়াটকিন্স – গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে এই তারকারাও আছেন। তাঁদের সামর্থ্য নিয়ে সংশয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু তুলনা যখন হাল্যান্ডের সঙ্গে, তখন দেখা যায় এরা কেউই তাঁর মত প্রোলিফিক স্ট্রাইকার নন। যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে বল জালে জড়াতে পারেন তিনি, গড়পড়তা ক্রস থেকেও গোল আদায় করতে পারেন।
কেভিন ডি ব্রুইনা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বটে; গত দুইটি গোল্ডেন বুট জেতার ক্ষেত্রে নরওয়ে তারকাকে অতিমানবীয় সাহায্য করেছেন তিনি। এমনকি দু’জনের মধ্যে টেলিপ্যাথিক সংযোগ রয়েছে সেই গুঞ্জনও রয়েছে। তাই ডি ব্রুইনা আসন্ন আসরে খেললে আরো একবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া কঠিন হবে না তাঁর জন্য।
লিংক আপের ক্ষেত্রে এই তরুণের ঘাটতি আছে, সেটা মানতেই হবে। কিন্তু গোল মুখে তাঁর মত নিখুঁত এবং হিংস্র বোধহয় ফুটবল বিশ্বেই আর কেউ নেই আপাতত। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বিরতির সময় পুরোপুরি বিশ্রামে ছিলেন তিনি, তাই বাকি প্রতিযোগীদের চেয়ে বেশি সতেজ থাকবেন নিশ্চয়ই।
গত মৌসুমে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না আর্লিং হাল্যান্ড, চোটের কারণে উল্লেখযোগ্য একটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। তবু পাঁচ গোলের ব্যবধানে গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি; প্রিমিয়ার লিগের বাকি স্ট্রাইকারদের চেয়ে কতটা এগিয়ে তিনি সেটা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেজন্যই ২০২৪/২৫ মৌসুমে তাঁকে গোল্ডেন বুট হাতে না দেখা গেলেই বরং অবাক হতে হবে।