জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০ ম্যাচ খেলা নাসুম আহমেদ কি কেবলই সম্ভাবনাময়? নাকি সম্ভাব্য ক্রিকেটার হতে পারতো দলের? দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইমরুল কায়েস, সাইফুদ্দীন, রুবেল, সোহানরা নানান অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেও এখনো পর্যন্ত চুপই আছেন নাসুম। কেবল নিরবে লড়াই করে যাচ্ছেন দলে ফেরার জন্য।
হুট করে দল থেকে হারিয়ে যাওয়া এই মুখ যেন রেখে গেছে কিছু প্রশ্ন। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো টি -টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে সাহায্য করা নাসুম নিজের শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচটাও খেলেছিলো ঐ ২১ সালেই।
এরপর পারফরম্যান্স দেখিয়ে ২২ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার জাতীয় দলে তার শেষ ম্যাচ খেলেছিলো ২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তিনি ওডিআইতে ১৫ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৩২ ম্যাচে যায় নামের পাশে রয়েছে ১৩৭ উইকেট।
বাঁ-হাতি এই অফ স্পিনার ব্যাটিং টাও করেন বেশ যুতসই। দলের আসা যাওয়ার মিছিলে হতে পারতো টেইলএন্ডারে ভরসা এক মুখ। এশিয়া কাপে ৪৪ রানের এক ইনিংস খেলে ভারতকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই ক্রিকেটার।
লাস্ট বিপিএলে খুলনা টাইগার্সে হয়ে নাসুমের পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও চলনসই ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকে লিগে ছিলেন বেশ ছন্দে। তবে কেন বিসিবির পাইপলাইনেও নেই এই ক্রিকেটার!
সম্প্রতি বিসিবির এইচপি দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফাইনাল খেলে এসেছে, এদিকে পাকিস্তানেও বাংলাদেশ এ’ দল খেলবে চারদিনের ম্যাচ। যার কোনো কিছুতেই সুযোগ মেলেনি মাসুম আহমদের!
একজন খেলোয়াড় দুই তিন ম্যাচ খারাপ খেললে তাকে বাদ দেওয়া হতেই পারে। তবে তাকে প্রস্তুত করতে হবে দলের সাথে সম্পৃক্ত রেখে। তাকে পরিকল্পনা থেকেই সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিয়ে দেওয়া এ কেমন নীতি, যেখানে একের পর এক সুযোগ পেয়ে চলছে অনেকেই।
পরিবর্তন হচ্ছে সব, তাই পরিবর্তিত রূপ নিয়ে ফিরে আসুক নাসুম তার জাতীয় দলের জার্সিতে।