Social Media

Light
Dark

রিজওয়ান খেলবেন আর ক্র্যাম্প করবেন না – তা হবে না!

মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলবেন। ব্যাটে বড় রান আসবে – আর তিনি ক্র্যাম্প করবেন না – তা যেন হতেই পারে না।

মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলবেন। ব্যাটে বড় রান আসবে – আর তিনি ক্র্যাম্প করবেন না – তা যেন হতেই পারে না। ক্র্যাম্প করাকে তিনি রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তিনি আক্ষরিক অর্থেই বিরাট ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংসের দেখা পেয়েছেন, করেছেন তৃতীয় সেঞ্চুরি।

১৪২ রানে অপরাজিত থাকার সময় তিনি শরিফুল ইসলামকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লঙ অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মাঠের বাইরে ফেলে দেন – ছক্কা। তখনই ফলো থ্রুতে পেশিতে টান লাগে তাঁর।

যদিও তখন বড় কোনো বিপদ হয়নি। এক বল পর ক্র্যাম্প নিয়েই তিন রান দৌঁড়ে নেন তিনি। আর তাতে পূর্ণ হয় তাঁর ১৫০ রান। ক্র্যাম্প করা অবশ্য রিজওয়ানের জন্য নতুন কিছু নয়। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই তিনি এই সমস্যাই বেশ কয়েকবার ভুগেছেন।

ধারাভাষ্যে বিদ্রূপ করে সায়মন ডউল বলেছিলেন, ‘এটা রীতিমত ব্যাথাদায়ক এক কৌতুক!’ ইউটিউবে ব্যঙ্গ করে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ‘রিজওয়ানের ফিটনেসে জোর দেওয়া উচিৎ।’ রিজওয়ানও মজা করে বলেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে এটা ক্র্যাম্প, মাঝে মাঝে স্রেফ অভিনয়।’

যদিও এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্র্যাম্পের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের বুকেও চলে যান রিজওয়ান। ১৫ বছর পর কোনো পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ রান করলেন। এই তালিকায় তিনি কেবল পঞ্চম পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক। এর আগে ২০০৯ সালে করাচিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৮ রান করেন কামরান আকমল।

শেষ অবধি ১৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। তবে, ক্র্যাম্পের যাত্রা এখানেই শেষ নয়। পরে ফিল্ডিং করতে নেমে একই ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে তিনি মাঠ ছেড়ে চলে যান।

Share via
Copy link