একটা তরুণের অপেক্ষায় ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যু; সদ্য কৈশোরে পেরুনো ছেলেটা এল বটে, সেই সাথে দুর্দান্ত একটা গোল করে জানিয়ে দিল নিজের আগমনী বার্তা। বলছি এন্ড্রিক ফেলিপ্পের কথা, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে লা লিগার ইতিহাসে সর্ব কনিষ্ঠ রিয়াল ফুটবলার হিসেবে অভিষেকে গোল করার রেকর্ড গেল তাঁর দখল।
এই ব্রাজিলিয়ানকে গোল বানিয়ে ব্রাহিম দিয়াজ অবশ্য লাইমলাইটের খানিকটা বাইরে থেকেই আলো ছড়িয়েছেন। রিয়াল ভায়োলোদিদের বিপক্ষে স্রেফ মিনিট ত্রিশ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, তাতেই বনে গিয়েছেন শিরোনাম। এক গোল এবং এক অ্যাসিস্ট জমা পড়েছে তাঁর ঝুলিতে।
ফেদেরিকো ভালভার্দের কথা আলাদা করে বলতে হয়, নিরুত্তাপ প্রথমার্ধ শেষে তিনিই ভেঙে ছিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। দুর্দান্ত ফ্রি কিকের কল্যাণে তিনি পেয়েছেন মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় গোল। এছাড়া পুরো মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো, ইন্টারসেপশন কিংবা থ্রু পাসের মোহনীয় প্রদর্শনী তো আছেই।
অন্যদিকে, চেলসি বনাম উলভস ম্যাচের ভাগ্য কেবল দু’জনেই গড়ে দিয়েছেন। অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন কোল পামার, আর গোলের হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ বল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ননি মাদুইক। মজার ব্যাপার, মাদুইকের তিন গোলেই মূলত অ্যাসিস্ট করেছেন পামার। এই ইংলিশ তরুণ নিজেও আবার একটা গোল করেছেন। তাঁদের যুগলবন্দীতে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে দ্য ব্লুজরা।
প্রিমিয়ার লিগে আরেক ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে লিভারপুল জিতেছে ২-০ গোলে। আর দুই গোলেই অবদান রেখে জয়ের নায়ক কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ। অলরেড জার্সিতে শততম ম্যাচটা দারুণভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি, শুরুতেই দিয়াগো জোতার পাস থেকে জালের দেখা পেয়েছিলেন। এরপর আবার মোহামেদ সালাহকে দিয়ে করিয়েছেন শেষ গোল।
ইউরোপীয় ফুটবলের ব্যস্ততম রাতে সেরা পারফর্মার ছিলেন আরো ক’জন, এই যেমন এডার মিলিটাও কিংবা নিকোলাস জ্যাকসন। তবে সতীর্থদের ঔজ্জ্বল্যের কাছে ছায়া হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়া নিউক্যাসলের অ্যান্থনি গর্ডন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন।