নেইমার জুনিয়রকে ফিরিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা, নিজেকে ক্লাবের দুয়ারে সঁপে দিয়েও সাড়া পেলেন না। বিস্ময়কর হলেও সত্যি বটে, চলতি গ্রীষ্মকালীন উইন্ডোতে বার্সেলোনাতে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁকে কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ক্লাব ম্যানেজম্যান্ট।
অবিশ্বাস্য প্রতিভা হিসেবে ফুটবল দুনিয়ায় আগমন ঘটেছিল এই ব্রাজিলিয়ানের, সান্তোসে থাকাকালীন সময়েই তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন ব্যালন ডি’অরের সেরা দশে। অথচ মাত্র ৩২ বছর বয়সে তাঁর অবস্থান সৌদি আরবে, ইউরোপের আলো ঝলমলে ফুটবল উৎসবে থাকা হয়নি। পিএসজি থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাড়ি জমিয়েছেন আল হিলালে।
কিন্তু মূলধারার ফুটবলে ফিরতে বোধহয় উতলা হয়ে উঠেছেন এই ফরোয়ার্ড, তাই তো এবার বার্সেলোনাকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে দলে নিতে। কিন্তু বেতন কাঠামো নিয়ে ঝামেলার মাঝে থাকা দলটা সেই অনুরোধ রাখতে পারেনি। অবশ্য ক্লাব ম্যানেজম্যান্ট তাঁকে ফেরাতে চেয়েছে কি না সেটা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
ইউরোর অন্যতম সেরা পারফর্মার দানি অলমোকে কিনলেও এখনও নিবন্ধন করতে পারেনি কাতালানরা। অন্যদিকে, নিকো উইলিয়ামসের জন্য অনেক চেষ্টা করেও দলে আনতে পারেনি তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে নেইমার নিজেই ফিরে আসতে চেয়েছিলেন পুরনো ঠিকানায়, কিন্তু হেড কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নিজেই সেই পরিকল্পনায় কুঠার মেরেছেন।
ইনজুরি প্রবণ হওয়ায় অনেক কোচই নেইমারকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। ফ্লিকও সে রকম একজন, সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রজেক্টে নেইমারকে ব্যবহার করার সুযোগ নেই। যদিও রাফিনহা, লেওয়ানডস্কি আর লামিন ইয়ামালের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতি হয়তো দলটাকে অনন্য রূপ দিতে পারতো। কিন্তু কোচের পছন্দের ওপর তো আর কথা হয় না।
ব্লাউগানা জার্সিতে এই সেনসেশনের অতীত স্মৃতি অবশ্য ভিন্ন কথা বলে; কি দারুণ একটা সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে গড়েছিলেন বিধ্বংসী ত্রিফলা। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগাসহ সব ধরনের ট্রফি! কিন্তু শেষ বিকেলে নীড়ে ফেরা হলো না তাঁর, বাস্তবতা মেনে থাকতে হবে আল হিলালেই।