বাংলাদেশের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য একটা পরাজয়ের পর পুরো পাকিস্তান জুড়ে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা। দর্শক থেকে শুরু করে ক্রিকেটবোদ্ধা সবাই সমালোচনার ভাষাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশকে যেখানে উড়িয়ে দেয়ার কথা সেখানে দশ উইকেটে হার কেউই মানতে পারছে না। আবার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও ভাল নয় দলটির – সবমিলিয়ে হতশ্রী অবস্থা বটে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি তাই গণমাধ্যমের সামনে একরকম তুলোধুনো করলেন ক্রিকেটারদের; নিজের ক্ষোভ ঝাড়ার ক্ষেত্রেও কোন ছাড় দেননি।
সেই সাথে ঘরোয়া ক্রিকেটের কঙ্কালসার চিত্রও ফুটে উঠেছে তাঁর কথায়। একই সাথে এটাও বলা হচ্ছে যে, একজন বোর্ড সভাপতি কি নিজের দল নিয়ে আদৌ এমন কুৎসা রটনার এখতিয়ার রাখেন?
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক ফলাফল ছিল আমাদের জন্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নির্বাচকদের হাতে খুব বেশি বিকল্প নেই, চাইলেই তাঁরা ভিন্ন কিছু করতে পারছেন না।’
অধিনায়ক শান মাসুদ ঠিকঠাক নেতৃত্ব দিতে পারেননি; একাদশ নির্বাচন ঠিক হয়নি, বাবর আজমের মত ভরসাযোগ্য ব্যাটাররা রান পাননি আবার পেস আক্রমণভাগ ছন্নছাড়া বোলিং করেছে – বলতে গেলে প্রতিটা বিভাগেই পাকিস্তান প্রত্যাশার চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে গিয়েছিল; অন্যদিকে বাংলাদেশ তাঁদের পরিকল্পনার শতভাগ প্রয়োগ ঘটিয়েছে।
সেটারই ফলস্বরূপ এমন লজ্জাজনক হার। ঘরোয়া অঙ্গন থেকে প্রতিভাবানদের কেন সুযোগ দেয়া হয় না সেটা নিয়ে অনেকেই তাই সমালোচনা করছেন, কিন্তু পিসিবি বস জানান সেরকম কাউকেই চোখে পড়েনি তাঁদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান করতে চাই৷ কিন্তু যখনই সমাধান খুঁজতে যাই দেখি যে আমাদের হাতে সেরকম খেলোয়াড় নেই।’
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই অবশ্য নকভি পাকিস্তান দলে ‘মেজর সার্জারি’ করার হুমকি দিয়েছিলেন, কিন্তু সত্যিকারের কোন পরিবর্তন এখনো আনতে পারেননি। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কি করেন তিনি এবং তাঁর ম্যানেজম্যান্ট। একই যাথে বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে তাঁরও সব ইস্যুতে কথা বললেও সম্ভবত চলে!