ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই করলেন বাজিমাত। যে ধ্বংসলীলার অপেক্ষায় ছিল পাকিস্তান, সে ধ্বংসযজ্ঞ নিজ হাতে পরিচালনা করলেন খুররাম শেহজাদ। বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নজর রাখার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিলেন ডান-হাতি এই বোলার।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন। বাংলাদেশের ইনিংসের দুই ওভার হওয়ার পর শেষ হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের খেলা। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘন্টা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বল যে তখনও একেবারে নতুন। আর সেই নতুন বলকে অগ্নিগোলক বানিয়ে ফেললেন খুররাম শেহজাদ।
প্রথম ঘন্টায় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন তিনি। একাই নিয়েছেন চারটি উইকেট। আর তাতে করেই সিরিজে সমতা ফেরানোর আভাস পেতে শুরু করে পাকিস্তান। যার পুরো কৃতিত্বই পেতে পারেন খুররাম।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের আধিক্য বেশি। তাইতো রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিং করলেন খুররাম। ব্যাটারদের জন্য স্ট্যাম্প চ্যানেলে বল করতে শুরু করলেন। উইকেট থেকে সহয়তা কাজে লাগিয়ে নতুন বলে মুভমেন্টও আদায় করে নিচ্ছিলেন খুররাম শেহজাদ। তাতে করে উপড়ে যায় সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্যাম্প।
লেগ বিফোরের ফাঁদে কাটা পড়েন সাকিব আল হাসান। এক দফা বেঁচে গিয়েও খুররামের পাতা ফাঁদে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির হাসান। খুররামের এমন বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কল্যাণে বাংলাদেশের টুঁটি চেপে ধরে পাকিস্তান। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে, ফলো অনের হিসেব কষতে শুরু করে চান্ডিকা হাতুরুসিংহের দল।
খুররামের সাথে ধ্বংসের উৎসবে মাতেন আরেক পাকিস্তানি পেসার মির হামজা। তিনি বাগিয়ে নেন দুইটি উইকেট। তবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুই জনে ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তবে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরি পাকিস্তানি বোলারদের দখলে। এখান থেকে ম্যাচে ফেরা বাংলাদেশের জন্য বেজায় কঠিন এক কাজ। সে কঠিন পথটা আদতে বাংলাদেশ পাড়ি দিতে পারে কি-না সেটাই এখন দেখবার অপেক্ষা।