বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) দল পেলেন রিশাদ হোসেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল যখন ধুঁকছে রাওয়ালপিন্ডিতে তখন সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে ভেসে গেল এই সংবাদ। ফ্যাব্রিজিও রোমানো ক্রিকেটের সাংবাদিক হলে বড় করে লিখতেন হেয়ার উই গো, কেননা এমন ঘটনা বাংলাদেশে সচরাচর ঘটে৷ মাত্র দ্বিতীয় টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে বিবিএলে দল পেয়েছেন রিশাদ।
ড্রাফটে তিনি ছিলেন ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে; নিলামে ২৮তম কলের সুযোগ আসে হোবার্ট হারিকেন্সের কাছে, আর সেই সুযোগে ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরি থেকে তাঁকে বেছে নেয় দলটি। এর মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের এক নতুন দিগন্ত স্পর্শ করলেন তিনি। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার মজার সব অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হতে যাচ্ছে তাঁর ঝুলি।
নিজেদের ফেসবুক পেজে এই ডান-হাতির আগমনী ঘোষণা দিয়ে হোবার্ট হারিকেন্স লিখেছে, ‘একটা বাংলাদেশী বাঘে হারিকেন্স শিবিরে যোগ দিয়েছে। স্বাগতম রিশাদ হোসেন, দুর্দান্ত এক তরুণ লেগ স্পিনার যিনি বিবিএল ১৪-তে ঝড় তুলবেন।’
এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান লিগটিতে সুযোগ পান সাকিব আল হাসান, অ্যাডিলেড স্টাইকার্সের হয়ে খেলেছিলেন দুই ম্যাচ। পরের বছর মেলবোর্ন রেনিগেডস দলে নেয় তাঁকে, তাঁদের জার্সিতে খেলেন আরও চার ম্যাচ। এরপর থেকেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিবিএলের দরজা, অবশেষে রিশাদকে দিয়ে কাটলো সেই অচলাবস্থা।
এটা মূলত তাঁর বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করার পুরষ্কার। একেবারে অচেনা একজন হয়েই ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর যা করলেন তাতে বিশ্ববাসীও বাধ্য হয়েছে টুপি খোলা অভিবাদন জানাতে। মাত্র সাত ম্যাচে ১৪ উইকেট তুলে নিয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন এই লেগি।
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংটাও ভালোই জানেন তিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পাওয়ার হিটিংয়ের একাধিক প্রদর্শনী দেখিয়েছেন। তাই তো এমন একজন এক্স ফ্যাক্টরকে হাতছাড়া করতে চায়নি হোবার্ট, এখন দেখার বিষয় তাঁকে কিভাবে ব্যবহার করে দলটি; তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে এখন নজর কোটি বাংলাদেশীর।