ইংল্যান্ডের সফেদ জার্সিতে শততম ম্যাচ; হ্যারি কেইন তাই মাঠে নেমেছিলেন বিশেষ ভাবে তৈরি সোনালী বুট পরে, উদ্দেশ্য দিনটা স্মরণীয় করে রাখা।
তবে, কেবল মাঠের বাইরের চাকচিক্য দিয়েই সেটা করেননি তিনি, পারফরম্যান্সের ঝলকানিও দেখিয়েছেন বটে। তাঁর জোড়া গোলে ভর করেই ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ইংলিশরা।
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ, ২১ বছরের এক তরুণের অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ড দলে। এরপর কেটেছে প্রায় এক দশক, সেই তরুণ এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক – মাঝের সময়টাতে কতশত রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনও তাঁর দখলে।
সবশেষ ফিনল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। এতদিনে ৯৯ ম্যাচ খেলে ফেলা এই স্ট্রাইকার এ ম্যাচ দিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
মাঠে উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করতে অবশ্য সময় লেগেছে, ২৩ মিনিটের সময় গোল করলেও সেটা বাতিল হয়ে যায় ভারে। ৫৪ মিনিটের সময় দুর্ধর্ষ এক ফ্রিকিকে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি, কিন্তু শেষমেশ হয়নি।
যদিও মিনিট কয়েক পরে ভাঙে সব প্রতিরোধ, ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ডের কাছ থেকে পাওয়া বল সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই জালে জড়িয়ে দিয়েছেন কেইন।
তাতেই মাইলফলক স্পর্শ করার দিনে স্কোরবোর্ডে জায়গা করে নেয় তাঁর নাম। খানিক পরে আবারো ক্যামেরার ফোকাসে তিনি, আবারো গোল উদযাপন করতে দেখা গেল তাঁকে।
যদিও এই গোলের সাথে সাথে ননি মাদুইয়েকের কথা বলতে হয়, চেলসির এই উইঙ্গারের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। আর অভিষেকের দশ মিনিটের মাথায় অ্যাসিস্ট করে বসলেন তিনি।
তবে দিন শেষে হ্যারি কেইন আছেন সকল আলোচনার কেন্দ্রে, সেটাই স্বাভাবিক বটে। ফুটবল বিশ্বের তাঁর কাছে বোধহয় আর পাওনা থাকলো না কিছুই, এবার উল্টো তাঁকে প্রতিদান দেয়ার পালা ফুটবল বিধাতার।